• 'মমতার ভোটব্যাঙ্কে' থাবা বসাতে অঙ্ক কষলেন শুভেন্দু, উপনির্বাচনেই ফর্মুলা প্রয়োগ?
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৩ নভেম্বর ২০২৪
  • গত লোকসভা নির্বাচনের অন্যতম ইস্যু ছিল সন্দেশখালি। ইস্যুর সূত্রপাত ছিল রেশন দুর্নীতি। তবে পরে তার 'ফোকাস' পুরোপুরি ঘুরে যায়। 'যৌন হেনস্থার' অভিযোগ উঠে আসতেই তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল বিজেপি। যদিও সেই ইস্যুকে হাতিয়ার করে ভোটবাক্সে বেশি 'লাভ' তুলতে পারেনি গেরুয়া শিবির। তবে আসন্ন উপনির্বাচনের আগে ফের একের পর এক ইস্যু হাতে এসেছে বিজেপির। আরজি কর, জয়নগর, ফালাকাটার মতো একাধিক নারী নির্যাতনের কেস সামনে এসেছে। এই আবহে শুভেন্দু অধিকারী অঙ্ক কষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'ভোটব্যাঙ্ক' ভাঙাতে চাইছেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সব বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের জন্যে যে মহিলারা একচেটিয়া ভাবে তৃণমূলকে ভোট দিয়ে এসেছেন, নারী নির্যাতন ইস্যুতেই তাঁদের ভাঙিয়ে তৃণমূলকে ধাক্কা দিতে চাইছেন শুভেন্দু।

    আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট উপনির্বাচনের আগে সেখানে প্রচারে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানে বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে ভোট ভিক্ষা করে বিরোধী দলনেতা বলেন, 'বাংলায় রক্ষকই ভক্ষক।পৃথিবীর কোথাও এমন পাবেন না। আর জি কর থেকে ফালাকাটা, একের পর এক ঘটনা ঘটছে। বাংলায় মহিলারা সুরক্ষিত নন। ভোটবাক্সে এর জবাব দিন।' এদিকে আলিপুরদুয়ারের ফালকাটার যেখানে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ, সেখানে সন্ধ্যায় যান শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে গিয়ে তিনি বলেন, 'যে ঘটনা ঘটেছে তার নিন্দা করার ভাষা নেই। পরিবার চাইলে আমরা ওঁদের আইনি সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।'

    এদিকে শুভেন্দু গতকাল নারী নির্যাতন ইস্যুতে বলেন, 'হাঁসখালি,মাটিগাড়া, যাই বলুন না কেন, হয় পিছিয়ে পড়া সমাজ নয়ত নমঃ শূদ্র। তাঁদেরই টার্গেট করা হচ্ছে। আমরা সাংসদ ও বিধায়কদের নিয়ে এখানে এসেছি সহানুভূতি জানাতে। ময়নাতদন্ত কীভাবে হয়েছে আমি জানি না। তবে শুনেছি পিএম সঠিক পদ্ধতিতে হয়নি। এটা রাজনীতি নয়। পশ্চিমবঙ্গে এরকম ঘটনা ঘটছে। শিশুকন্যারা বাদ যাচ্ছে না। এটা জঘন্ন অপরাধ। এদের জানোয়ারের সঙ্গে তুলনা করলেও ভুল হবে। এখানে গ্রামের লোকজন আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছিল তার কারণ এই সরকারের প্রতি তাদের আস্তা নেই।' শুভেন্দুর কথায়, 'এই রাজ্যের ধর্ষকদের রক্ষক সরকার। এর জন্যে মুখ্যমন্ত্রী নিজে দায়ী। কারণ বিগত ১৩ বছর ধরে তিনিই রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী।'
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)