দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে শনিবার রাতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল হাওড়ার শালিমার। সংঘর্ষ বেঁধে যায় দু'পক্ষের মধ্যে। মুহূর্মুহূ ইট ছোড়া হয়। তার জেরে কয়েকজন আহত হয়েছেন। পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, ছোটখাটো চোট-আঘাতের খবর মিলেছে। বড় কোনও আঘাতের খবর মেলেনি। একটি মহলের তরফে দাবি করা হয়, দুটি সিন্ডিকেটের মধ্যে ঝামেলার জেরেই অশান্তি ছড়িয়েছে। তবে কী কারণে পরিস্থিতি এরকম উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, তা অবশ্য পুলিশের তরফে জানানো হয়নি। হাওড়া সিটি পুলিশের তরফে শুধুমাত্র জানানো হয়েছে যে মোবাইল দোকান থেকে ঝামেলার সূত্রপাত হয়। তারপর বস্তিতে ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় র্যাফ এবং পুলিশ মোতায়েন করা হয়। প্রাথমিকভাবে দু'জনকে আটক করা হয়েছে।
আর সেই যাবতীয় ঝামেলার সূত্রপাত শালিমার পাঁচ নম্বর গেটের কাছে। শনিবার রাতে সেখানে দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। অভিযোগ উঠেছে যে মোবাইলের দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। প্রাথমিকভাবে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মোতায়েন করা হয় র্যাফ।
বিষয়টি নিয়ে হাওড়া সিটি পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, একটি মোবাইল দোকানে দু'তিনজনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। সেই ঝামেলা জড়িয়ে পড়ে বস্তিতে। পাথর ছোড়া হয়। ঘটনাস্থলে চলে আসে পুলিশ। নিয়ন্ত্রণে আনে পরিস্থিতি। তারপর যে যাঁর ঘরে ঢুকে যান। দু'জনকে আটক করা হয়েছে। যাতে নতুন করে কোনও উত্তেজনা না ছড়ায়, সেজন্য মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। করা হয়েছে পিকেটিং।
কিন্তু ঘটনার নেপথ্যে কি সিন্ডিকেটের মধ্যে লড়াই আছে? পুলিশ জানিয়েছে, একটা ছোটখাটো বিষয় নিয়ে মোবাইলের দোকানে ঝামেলার সূত্রপাত হয়েছিল। পারিবারিক ঝামেলাই হবে। এলাকা দখল বা সিন্ডিকেট নিয়ে ঝামেলা হয়েছে বলে আপাতত কোনও খবর মেলেনি। ছোটখাটো ব্যাপার নিয়ে বস্তির মধ্যে ঝামেলা হয়েছে বলে দাবি করেন হাওড়া সিটি পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক।
তবে ‘ছোটখাটো’ ঘটনা যখন ঘটেছে, তখন কেন র্যাফকে নামতে হল? বিষয়টি নিয়ে হাওড়া সিটি পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক দাবি করেছেন, যখন দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে, তখন পুলিশ এসে নিয়ন্ত্রণ করেছে। পুলিশ তো ‘ম্যাক্সিমাম’ বাহিনী নিয়েই আসে, যাতে আরও অশান্তি না ছড়ায়। আর পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে।