গোষ্ঠীকোন্দলে জেরবার তৃণমূল, আক্রান্ত একের পর এক MLA, 'ড্যামেজ কন্ট্রোলে' কুণাল
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৩ নভেম্বর ২০২৪
কালীপুজোর রাতে সুন্দরবন লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনায় দু'টি পৃথক ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসেরই দুই বিধায়ক। দু'টি ঘটনাতেই তৃণমূল কংগ্রেসেরই স্থানীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আঙুল উঠেছে। এই আবহে আসন্ন উপনির্বাচনের প্রাক্কালে দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব চলে আসায় অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির। আর এহেন পরিস্থিতিতে 'ড্যামেজ কন্ট্রোলে' নামতে দেখা গেল কুণাল ঘোষকে। তাঁর দাবি, দলের মধ্যে কোনও ভেদাভেদ নেই। সবাই একত্রে উপনির্বাচনে লড়বে। মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে আছে।
এই আবদে দলের কোন্দল নিয়ে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের বক্তব্য, 'কাউন্টিংয়ের পর রেজাল্টটা আপনারা দেখতে পারবেন। ফলে এত বড় দল... কার সঙ্গে কোথায় কি... অনেকে একমত... কোনও ইস্যুতে কারও আবার দ্বিমত থাকতে পারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে আসন্ন উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস একটা ঐক্যবদ্ধ পরিবারের মতো লড়ছে। ফলে ভোটের ফলাফল বেরোলেই দেখতে পারবেন যে মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে আছে।'
উল্লেখ্য, কালীপুজোর রাতে তৃণমূল নেতা আবদুল খালেক মোল্লার বাহিনীর হাতে আক্রান্ত হন মিনাখাঁর তৃণমূল বিধায়ক ঊষারানি মণ্ডল। তাঁকে শাড়ি ধরে গাড়ি থেকে টেনে নামিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। রড দিয়ে মারা হয় পায়ে। তাতে উষারানির পা ফেটে গিয়েছে। ওদিকে ন্যাজাটে আক্রান্ত হন সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো। তাঁর গাড়িতে পাথর ছোড়ে তৃণমূল নেতা আবদুল কাদের মোল্লা ও তাঁর অনুগামীরা।
অপরদিকে বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে 'নিখোঁজ পোস্টার' দিয়েছেন দলেরই কর্মীরা। হাড়োয়া বিধানসভা উপনির্বাচনের আগে বসিরহাটেও তাই গোষ্ঠীকোন্দলের চিত্র তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে। সিপিএম থেকে তৃণমূলে যোগদানের পর গত বিধানসভা নির্বাচনে বসিরহাট দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে টিকিট পেয়েছিলেন রফিকুল ইসলাম। সেই রফিকুলের সন্ধান চেয়ে বসিরহাটে তাঁর বাড়ি ও পার্টি অফিসের কাছে পড়েছে পোস্টার। পোস্টার পড়েছে তৃণমূল সম্মান রক্ষা কমিটির নামে। তবে কে বা কারা এই পোস্টার লাগিয়ে গিয়েছে তা জানা যায়নি। তবে তৃণমূলের একাংশের দাবি, বিধায়ককে এলাকায় দেখা যায় না। প্রসঙ্গত, স্থানীয় সূত্রে দাবি, বসিরহাটে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ বহুমুখী। সেখানে যত নেতা তত গোষ্ঠী। আর তাদের মধ্যে এলাকা দখলের লড়াই লেগেই থাকে। আর হাড়োয়া বিধানসভা উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে নতুন করে সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ মাথাচাড়া দিয়েছে।