ফাটল ধরে যায় দেওয়ালের একটা অংশ। পাশের লাগোয়া দুটি বাড়ির জানলার কাঁচ ভাঙে। খবর পেয়ে ভোররাতে পৌঁছায় উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় শ্যামল মন্ডলকে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিজেদের বাড়ির পাশেই শ্যামল এবং তাঁর তিন ভাই নতুন দোতলা বাড়ি করেছেন। সেখানেই গতরাতে দোতলায় ঘুমোচ্ছিলেন বাবা-মা ও তার বোন। দাদা অমলেন্দু মন্ডল জানান, "ভাই কম্পিউটারের 'ইউপিএস' মেরামতির কাজ করেন। বাড়িতে প্রচুর ব্যাটারি সহ আরও অন্যান্য দাহ্য পদার্থ মজুত ছিলো। যেগুলো রাখা ছিলো দোতলায় বাথরুমের ওপরের ফাঁকা জায়গায়। সেখানেই বিস্ফোরন ঘটে।"
তবে বাজি রাখা ছিলো কিনা তার এখনও খোঁজ মেলেনি। তিনি আরো বলেন, "বিস্ফোরক কিংবা বাজি থাকলে ঘরে আগুন ধরে যেতো। বাবা মা জখম হতো। কিন্তু সেরকম কিছু হয়নি।" এই ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিস সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রচুর বাজি মজুত ছিলো ঘরে। সেখান থেকেই এই দুর্ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, শুক্রবার উলুবেড়িয়ার গঙ্গারামপুর এলাকায় বাজি ফেটে অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছিল তিন শিশুর। বাজি পোড়ানোর সময় একটি চরকির ফুলকি থেকে আগুন লেগে যায় বাড়িতে। তারফলে তিনজনের মৃত্যু হয়। তাই পুলিস বাজি মজুতের মতন বিষয় এড়িয়ে যাচ্ছে না। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করছে পুলিস।