তারপর আমবাগান থেকে রাস্তায় তুলে এনে যুগলকে বেধড়ক মারধর শুরু হয়। বসে সালিশি সভা। তারপর শাস্তি স্বরূপ যুগলকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে নির্মম অত্যাচার চালানো হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কালিয়াচক থানার পুলিস। যুগলকে উদ্ধার করতে গিয়ে বাধা দেয় উত্তেজিত জনতা। এনিয়ে শুরু হয় বচসা। বাসিন্দাদের একাংশ মারধর শুরু করে পুলিসকর্মীদের। এমনকী, ভাঙচুর করা হয় আইসির গাড়ি। ইট ও লাঠির আঘাতে জখম হন বেশ কয়েকজন পুলিসকর্মী। পরিস্থিতি সামাল দিতে পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিস । ওই যুগলকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় কালিয়াচক থানায় । এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
কালিয়াচক থানার আইসি সুমন রায়চৌধুরি জানিয়েছেন, 'যুগলকে মারধরের খবর পেয়ে পুলিশ শেরপুর এলাকায় যায়। তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা করতেই পুলিসের উপর চড়াও হয় বেশ কয়েকজন। তাদের প্রত্যেকের হাতে ধারালো অস্ত্র-সহ ইটপাথর ও লাঠি ছিল। ইটের আঘাতে গুরুতর আহত হন এক পুলিসকর্মী। স্বতপ্রণোদিত একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে।" নিগৃহীতা মহিলা পুলিসকে জানান, "তিনি ব্যাঙ্কের শাখায় টাকা তুলতে গিয়েছিলেন। তখনই ওই যুবকের সঙ্গে রাস্তায় দেখা হয়। যুবক পূর্ব পরিচিত হওয়ায় তিনি রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন।"
যদিও এই ঘটনা ঘিরেও চড়ছে রাজনৈতিক পারদ, স্থানীয় তৃণমূল নেতার মতে, "এই ঘটনায় পুলিস যথা যোগ্য ব্যবস্থা নেবে। কাউকে চিন্তা করার দরকার নেই।" যদিও পাল্টা পুলিসকে 'অপদার্থ' বলে কটাক্ষ করছেন বিরোধীরা। বিরোধীরা জানান, "পুলিস যখন ওই যুবক-যুবতিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছিল, গ্রামবাসী সেই সময় পুলিসের গাড়ি থামিয়ে সালিশি সভার প্রস্তুতি করছে। পুলিস সেখানে নির্বাক ভূমিকা পালন করছে। সারা পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকার পুলিসকে অপদার্থে পরিণত করেছে।"