• প্রকাশ্যে মদ্যপানের প্রতিবাদে ভাঙচুর! ওদিকে মহিলার মুখে ছোড়া হল মদ...
    ২৪ ঘন্টা | ০৩ নভেম্বর ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রকাশ্যে মদ্যপানের প্রতিবাদে হামলা ও ভাঙচুর নেতাজি নগর থানার অন্তর্গত ৩ নম্বর বিদ্যাসাগর কলোনির রুদ্রাক্ষ ক্লাবে। স্থানীয়দের অভিযোগ, শাসক দলের ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার প্রণব মিস্ত্রি ওরফে রিন্টু রাস্তার পাশে প্রকাশ্যে মদ্যপান করছিলেন। জানা যায়, শনিবার রাতে ক্লাবের সদস্যরা এই বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলে। ওই সময় ৫০-৬০ জন দুষ্কৃতী ঢুকে মহিলাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করে। পাশাপাশি ক্লাবের সদস্যদের মারধর করে বলে অভিযোগ। ভাঙচুর করা হয় ক্লাব। লুঠ করা হয় ক্লাবের টিভি। ক্লাবের সদস্যদের অভিযোগ, ক্লাবে ঢুকে প্রায় ১৫ জনকে মারধর করে। এই ঘটনার পর রাতেই নেতাজী নগর থানাতে লিখিত অভিযোগ করা হয়।

    তো অন্যদিকে, কালীপুজোর শোভাযাত্রায় পথচারী এক গৃহবধুর গায়ে মদ ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ। প্রতিবাদ করতে গেলে স্বামী ও স্ত্রীকে মারধোর। শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে, নদিয়ার শান্তিপুর শ্যামবাজার এলাকায়। পুলিস সূত্রে জানা যায়,  কালী প্রতিমার বিসর্জনের শোভাযাত্রা চলাকালীন স্বামীর মোটর বাইকের পেছনে বসা স্ত্রীর গায়ে মদ ঢেলে দেয় অন্য কালীপূজো কমিটির সদস্যরা। স্বামী প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। একই সঙ্গে মারধর করা হয় স্ত্রী ও স্বামীর এক বন্ধুকেও। পরে পুলিস এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। মারধরের পর অসুস্থ হয়ে পড়েন স্ত্রী। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। শনিবার রাতে প্রায় দশটা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। আক্রান্ত স্বামী-স্ত্রী এবং স্বামীর বন্ধুর বাড়ি শান্তিপুর থানা এলাকায়। লিখিত অভিযোগের পর শান্তিপুর থানার পুলিস তদন্ত শুরু করেছে। তবে এখনো পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি কেউ।

    রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মদ্যপানের কারণে এত সমস্যা তৈরি হচ্ছে। ঠিক সেই মতন পরিস্থিতিতে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া মাইশোরা গ্ৰামের রাস্তার ধারে পড়ল একাধিক পোস্টার। তবে এটি কোন রাজনৈতিক পোস্টার নয়, এটি মদ্যপান বিরোধী পোস্টার। কী লেখা রয়েছে সেই পোস্টারে? রাস্তার ধারে মদ্যপান করা যাবে না। যদি কেনো ব্যক্তি রাস্তার ধারে মদ্যপান করেন তাহলে তবে তাকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হবে। এবং যদি কোন ব্যক্তি ধরিয়ে দিতে পারে তাহলে তাকেও দেওয়া হবে এক হাজার টাকা। গ্ৰামের রাস্তার পাশে মদের বোতল ভাঙা অবস্থায় পরে থাকায় নানান সমস্যায় পড়ছেন কৃষক থেকে সাধারণ মানুষেরা। চাষ করতে গেলে কাটছে পা হাত। প্রশাসনকে জানিয়েও মেলেনি কেনো সুরাহা। তাই নিজেদের উদ্যোগেই গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় লাগালেন এমন পোস্টার।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)