প্রসঙ্গত ২৮ অগস্ট ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ ১৪০৫২ জন প্রার্থীর চাকরি সুনিশ্চিত করতে হবে। ২৫ অক্টোবর সুপ্রিমকোর্ট সেই রায়দানেই বহাল। সেই মর্মে স্কুল সার্ভিস কমিশন ৮৭৪৯ জন প্রার্থীর কাউন্সেলিং এবং রিকমেন্ডেশন প্রদানের সময়সূচী প্রকাশিত করেছে, অপরদিকে জয়েনিং হচ্ছে।
ধারাবাহিক ভাবে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাউন্সেলিং করতে হবে, যাতে নিশ্চিত প্রার্থীরা ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যোগদান করতে পারেন এবং ডিভিশন বেঞ্চ ও সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক ১৪০৫২ জন প্রার্থীর চাকরি সুনিশ্চিত করা। আপাতত ৮৭৪৯ জন প্রার্থীর কাউন্সেলিং এবং রিকমেন্ডেশন তালিকা প্রকাশিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সাল থেকে হাইকোর্টের নির্দেশেই বারবার স্থগিত হয়ে গিয়েছে উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়া। ২০২০ সালে আবার নিয়োগ প্রক্রিয়াটি বাতিল করে দিয়েছিল আদালত। গত বছর অর্থাত্ ২০২৩ সালে প্যানেল প্রকাশের অনুমতি দেয় হাইকোর্ট। তখন অবশ্য় ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, প্যানেল প্রকাশ করা যেতে পারে, তবে কাউকে নিয়োগের সুপারিশ করতে পারবে না এসএসসি। এরপর মামলাটি চলে যায় বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন।
১৮ জুলাই শুনানি শেষ হয়। শেষমেশ চলতি বছর রায় দেয় হাইকোর্ট। দুর্গাপুজোর আগে ৩ অক্টোবর থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত ছ'দিন কাউন্সেলিং হয়েছে । শতাংশ নিরিখে এই পর্যায়ে সাধারণ বিভাগে অনুমোদন পত্র গ্রহণ করেছে ২৮.৫৪ শতাংশ চাকরিপ্রার্থী। প্রসঙ্গত, ২৫ অক্টোবর আরবি বিভাগে ১৫০ জন চাকরিপ্রার্থীকে ডাকা হয়েছিল তার মধ্যে চার জন অনুপস্থিত ছিল। কিন্তু ওবিসি এ-তে মাল্টিপল তালিকা অনুযায়ী ৫২টি পদ ফাঁকা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাউন্সেলিংয়ের সময়ে মাল্টিপল তালিকা থেকে বহু সংখ্যক প্রার্থী ডাক পাবে বলে আশাবাদী চাকরিপ্রার্থীরা।