রেফারের পরেও মেলেনি বেড, ২৪ ঘণ্টা ধরে স্ট্রেচারে রোগী, অমানবিক দৃশ্য SSKM-এ
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৩ নভেম্বর ২০২৪
অস্ত্রপোচারের জন্য জেলা হাসপাতাল থেকে রেফার করা হয়েছিল কলকাতার হাসপাতালে। তারপরেও ভর্তি নেওয়া হল না রোগীকে। এই অবস্থায় ২৪ ঘণ্টা ধরে স্ট্রেচারে পড়ে রইলেন রোগী। এমনই অভিযোগ উঠেছে অন্যতম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল এসএসকেএমের বিরুদ্ধে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, শয্যা খালি না থাকায় ভর্তি নেওয়া হয়নি। অস্ত্রপোচারের জন্য হাসপাতাল থেকে দুসপ্তাহ পর সময় দেওয়া হয়েছে। তারপরেও রোগীর পরিবার সেখানেই রয়েছেন।
জানা গিয়েছে, ওই রোগী আসানসোলের কুলটির বাসিন্দা। তিনি দুসপ্তাহ আগে ঝাড়খণ্ডে কাজে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ছাদ থেকে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছিলেন রোগী। শিরদাঁড়ায় মারাত্মক চোট পেয়েছেন। এই অবস্থায় সেখান থেকে ওই রোগীকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় আসানসোল হাসপাতালে। পরে সেখান থেকে রেফার করা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। প্রায় ১০ দিন ধরে তিনি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। পরে চিকিৎসকরা জানান, শিরদাঁড়ার অস্ত্রোপচার করতে হবে, সেটা বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে সম্ভব নয়। এর জন্য ওই রোগীকে এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, এসএসকেএমে এসেও সমস্যার সমাধান হয়নি। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, এখন শয্যা খালি নেই, দু সপ্তাহ পরে আসতে হবে।
এদিকে, যন্ত্রণায় ছটফট করছিলেন রোগী। তখন কী করবেন বুঝে উঠতে না পেরে পরিবারের লোকজন রোগীকে স্ট্রেচারে রেখে অপেক্ষা করেন। শনিবার সকাল সাড়ে ৭ টা থেকে স্ট্রেচারে রয়েছেন রোগী। ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও ওই রোগীকে স্ট্রেচারে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তিনি যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন, ঠিকমতো কথা বলতে পারছেন না। পরিবারের এক সদস্য জানান, ছাদ থেকে পড়ে যাওয়ার পর প্রথমে আসানসোল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে একদিন রাখার পর বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। বর্ধমান সেখানে ১০ দিন ভর্তি ছিলেন। পরে তারা পিজিতে রেফার করেন।পরিবারের বক্তব্য, ডাক্তারবাবুর বলেছেন এখন বেড খালি নেই অপেক্ষা করতে হবে, না হলে ফিরে যেতে হবে। এখন ফিরে গিয়েই বা তারা কী করবেন? তাই অপেক্ষা করছেন বলে জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেম চালু হয়েছে কলকাতার বেশ কয়েকটি হাসপাতালে। সেই হাসপাতালের সঙ্গে অনলাইনে যুক্ত করা হয়েছে জেলা এবং ব্লক হাসপাতালগুলিকে। আরজি কর কাণ্ডের পরে জুনিয়ররা যেসব দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন তাতে সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেম সঠিকভাবে প্রয়োগেরও দাবি তুলেছিলেন।