উৎসবের মরশুম প্রায় শেষ হতে চলল। ভাইফোঁটাও প্রায় শেষ। আবার একটা বছরের অপেক্ষা। তবে এবার নানা কারণে উৎসবের মাত্রা কিছুটা কম ছিল। পুজো হয়েছে আগের মতোই। কিন্তু উৎসবের সেই তালটা যেন কোথাও কেটে গিয়েছিল… তবে উৎসবের তাল কাটলেও গাড়ি কেনার হিড়িক কিন্তু কোনও অংশে কমেনি উৎসবের দিনগুলিতে। এমনকী গত পুজোর তুলনায় এবার পুজোতে গাড়ি কেনার হিড়িক কার্যত দ্বিগুণ ছিল।
পরিসংখ্য়ান বলছে, অক্টোবর মাসে রাজ্যে নতুন গাড়ি রেজিস্ট্রেশন হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৭৯টি। গত বছরের তুলনায় এই সংখ্য়াটা প্রায় দেড়গুণ বেশি। গত বছর এই পুজোর মাসে গাড়ি বিক্রি হয়েছিল ৮১,২১২টি। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ৫৯,৮৪১টি। অর্থাৎ ২০২২ সালের সঙ্গে তুলনা করলে এবার গাড়ি বিক্রির সংখ্য়া কার্যত দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে।
বহু মানুষ এবার দাবি করেছিলেন তাঁরা উৎসবে ফিরছেন না। আরজি করের ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদ আন্দোলনে মুখর হয়েছে বাংলা। কিন্তু তারপরেও দেখা গিয়েছে পুজোর দিনগুলোতে প্যান্ডেলগুলিতে একেবারে উপচে পড়া ভিড়।
ফূর্তিও কিছু কম হয়নি। জমিয়ে খাওয়া দাওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গেই নতুন গাড়িতে চেপে লং ড্রাইভে গিয়েছেন উৎসব মুখর মানুষ।
কিন্তু পুজোর সময় কেন গাড়ি কেনার এত হিড়িক থাকে? অনেকের মতে, আসলে পুজোটা একটা উপলক্ষ্য। সেই উপলক্ষকে সামনে রেখে গাড়ি কেনার বাসনাকে মেটানো হয়। সেই সঙ্গেই উৎসবের দিনগুলিতে দেখা যায় গাড়ির নানা অফার দেওয়া হচ্ছে। সেকারণে গাড়ি কেনার প্রতি বেশি আগ্রহ থাকে সাধারণ মানুষের। পুজোর মুরশুম চলে গেলে আর এই ধরনের অফার থাকে না। দুর্গাপুজোর সময় এই গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে নানা ছাড় থাকে। আবার কালীপুজো, দেওয়ালিতে গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে নানা অফার থাকে। সেকারণে এই সময়গুলিতে একটু বাড়তি ছাড়ের আশায় অনেকেই গাড়ি কেনেন।
তবে পরিসংখ্যান বলছে এবার গাড়ি কেনার হি়ড়িক গত বছরের পুজোর তুলনাতেও কিছুটা বেশি ছিল। গোটা অক্টোবর মাস জুড়েই খালি পুজো আর পুজো। সেই দুর্গাপুজো থেকে শুরু হয়েছিল। আর নভেম্বর মাসের তিন তারিখে এসে ভাইফোঁটাতে শেষ হল। আর এই অক্টোবর মাসে গাড়ি কেনার ধূম ছিল একেবারে চোখে পড়ার মতো। অক্টোবর মাসে রাজ্যে নতুন গাড়ি রেজিস্ট্রেশন হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৭৯টি। গত বছরের তুলনায় এই সংখ্য়াটা প্রায় দেড়গুণ বেশি। গত বছর এই পুজোর মাসে গাড়ি বিক্রি হয়েছিল ৮১,২১২টি।