কালীমণ্ডপে ‘অপকর্ম’, পুলিশ নাম না জানানোয় BJP নেতা বললেন, ‘মমতার ভোটব্যাঙ্ক তো’
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৩ নভেম্বর ২০২৪
লেকটাউনের কালীমণ্ডপে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ‘দুষ্কর্ম’ করার অভিযোগ উঠেছে। সেই ঘটনায় পুলিশকে নিশানা করলেন পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির যুবমোর্চার সহ-সভাপতি তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। তিনি বলেন, ‘অভিযুক্ত বিধাননগর পুলিশের ভাসুর হয়। এই জন্য নাম নিতে পারেনি বিধাননগর পুলিশ। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর ভোটব্যাঙ্ক বলে কথা।’ যদিও তরুণজ্যোতির সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পুলিশের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। আপাতত কোনও মন্তব্য করেনি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসও।
শনিবার দুপুরে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে জানানো হয়, গভীর রাতে লোকজন না থাকার ফায়দা নিয়ে দিনকয়েক আগে লেকটাউন থানা এলাকার একটি পুজো মণ্ডপে দুষ্কর্ম করেছে এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তি স্থানীয় এলাকারই বাসিন্দা। মা কালীর মূর্তি যে মঞ্চে রাখা ছিল, সেটাকে টেনে চলে গিয়েছিল। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দ্রুত ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তের পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজত হয়েছে। ওই ব্যক্তি একাই সেই কাজে জড়িত ছিল নাকি অন্য কারও প্ররোচনায় সেই কাজটা করেছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চলছে তদন্ত। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এলাকায় বজায় আছে শান্তি। যারা শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে এবং যারা গুজব ছড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
সেইসঙ্গে কেউ যাতে গুজবে কান না দেন, সেই আর্জিও জানানো হয়েছে। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে বলা হয়েছে, 'অনুগ্রহ করে ওই ঘটনা নিয়ে কোনও উলটো-পালটা গুজবে কান দেবেন না।'
এমনিতে কালীপুজোর আবহে কলকাতা পুলিশের তরফেও কোনওরকম গুজবে কান না দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। শনিবারই কলকাতা পুলিশের তরফে দাবি করা হয়, পশ্চিম বন্দর এলাকায় কোনও কালীপুজো মণ্ডপে হামলা বা ভাঙচুর চালানো হয়নি। একটি পকসো মামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিযুক্ত এবং অভিযোগকারী পক্ষের মধ্যে অশান্তি বেঁধে যায়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যখন কয়েকজন পাথর ছুড়তে শুরু করে দেয়। এলাকায় ভাঙচুর চালাতে থাকে।
পুলিশের তরফে আরও বলা হয় যে পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে বেরিয়ে না যায়, সেজন্য দ্রুত পদক্ষেপ করে পুলিশ। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। কালীপুজোর মণ্ডপের আশপাশে যাতে কোনওরকম অশান্তি না ছড়ায়, সেজন্য কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় এলাকা।