প্রয়া ২ বছর পর গোরু পাচার ও আর্থিক তছরুপের মামলায় জামিন পেয়ে বীরভূম জেলায় ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল। তবে অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে দলের সাংগঠনিক হাল ধরার জন্য তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোর কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন। অনুব্রতর প্রত্যাবর্তনের পরেও কোর কমিটি একই ভাবে রয়েছে। ওই কোর কমিটিতে রয়েছেন রাজ্যের কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, বিধানসভার উপাধ্যক্ষ আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা পরিষদের সভাধিপতি ফায়জুল হক ওরফে কাজল শেখ, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ ও তৃণমূল নেতা সুদীপ্ত ঘোষ।
গত ১৭ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত চলা বিজয়া সম্মীলনির কোন মঞ্চে কাজল-কেষ্টকে এক সঙ্গে দেখা যায়নি৷ যদিও, অনুব্রতর সঙ্গে কোর কমিটির বাকি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন৷ কাজল-কেষ্ট ও কাজলের সঙ্গে কোর কমিটির বাকিদের সংঘাত যে বাড়ছে তা সর্বজনবিদিত।
৩১ নভেম্বর সিউড়ি ১ নম্বর ব্লকের কচুজোড়ে সারদা সন্তান সংঘের কালী পুজোর উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। পরে তিনি একটা চা চক্র করেন। অভিযোগ, কাজল শেখের চা চক্রে অংশ নেওয়ার জন্য পদ খোয়ালেন বুথ সভাপতি। সদাইপুর থানার ভরকুনা গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬ নম্বর সংসদ লালমোহনপুর বুথ সভাপতি শেখ খয়রাত ওরফে কটাকে সরিয়ে নতুন বুথ সভাপতি করা হল শেখ গিয়াসউদ্দিনকে৷
পদ খুইয়ে শেখ খয়রাত বলেন, "বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী ও সদাইপুর থানার ওসি মিখাইল মিয়া তাকে পদ থেকে সরিয়েছে। অপরাধ হল জেলা সভাধিপতি কাজল শেখের সঙ্গে চা খাওয়া৷ আমি বিধায়ককে গোটা বিষয়টি জানাই। বিধায়ক বলল বাকি নেতাদের পায়ে ধরে থাক৷ কাজল শেখের লোক হয়েছিস কী আর করা যাবে৷ আমি কাজল শেখকে বিষয়টা জানাব৷ ১২ বছর ধরে আমি দলের বুথ সভাপতির পদ সামলেছি। ভোটে লিড দিয়েছি৷ আর দলের নেতার সঙ্গে চা খাওয়ার জন্য সরিয়ে দেওয়া হল?"