ধানের জমি ভালো করে খুঁজতেই স্থানীয়দের চোখে পরে ব্যক্তির দেহ পড়ে আছে। উপুর হয়ে পড়ে ছিলেন চন্দ্রশেখর। পাশেই পড়ে আছে লুঙ্গি। মৃতদেহর গলায় ধান গাছ প্যাঁচানো। চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে সমস্ত এলাকায়। খবর পেয়ে পৌঁছায় কাঁকসা থানার পুলিস। পুলিসকে ঘিরেও দেখানো হয় বিক্ষোভ। মৃতের দাদা শান্তিরাম মন্ডলের অভিযোগ,"আমি শুনেছি আমার ভাইয়ের একটি মোবাইল চুরি করেছিল উত্তম হাঁড়ি। শনিবার বিকেলে উত্তম হাঁড়ি এবং উত্তমের পরিবারের লোকজন ফোন করে হুমকি দেয় ভাইকে। মারধর করারও হুমকি দেওয়া হয়। তারপরই বাড়ি থেকে বেরোনোর পর খোঁজ মিলছিল না চন্দ্রশেখরের। শেষমেশ শনিবার সন্ধ্যায় স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পায় চন্দ্রশেখর পড়ে আছে নয়া কাঞ্চনপুরের ধান জমিতে। আমরা সঠিক তদন্ত চাইছি। এই ঘটনার সাথে যারা যুক্ত তাদের কঠোর শাস্তি চাইছি।"
চন্দ্রশেখর পেশায় ছিল ভাগ চাষী। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার অভিষেক গুপ্তা জানান,"মৃত্যুর কারণ এখনো জানা যায়নি। তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে ,তবে খুন করা হয়েছে। কিভাবে খুন,কেনই বা খুন হল তদন্ত শুরু হয়েছে, এখনো পর্যন্ত কেউ আটক বা গ্রেফতার হয়নি ।"