চার্জশিটে পুলিশ জানিয়েছে, নাবালিকাকে নির্যাতন এবং খুনের অভিযোগের মামলায় অভিযুক্ত দু’জন দিনের বেশির ভাগ সময় এক সঙ্গে থাকতেন, নেশা করতেন। ওই নাবালিকাকে খুন করে তার দেহ বস্তাবন্দি করতে এক অভিযুক্ত অন্য জনকে সাহায্য করেছিলেন বলেও দাবি পুলিশের। খুনের অভিযোগ মেলার পরেই জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায়ের নেতৃত্বে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়। এই দলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, এসডিপিও (ফরাক্কা), ফরাক্কা থানার আইসি-সহ পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকেরা ছিলেন। তদন্ত শেষ করে ২১ দিনের মাথায় আদালতে চার্জশিট জমা করেছে পুলিশ।
পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, গোটা ঘটনার তদন্তে একাধিক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। কী ভাবে অভিযুক্তেরা ঘটনাস্থলে এসেছিলেন এবং কী ভাবে সেখান থেকে বেরিয়ে যান, তার ‘ডিজিটাল ম্যাপিং’ আদালতে জমা করতে চলেছে পুলিশ। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় বলেন, ‘‘দ্রুত সাক্ষ্য প্রমাণ-সহ আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে তদন্তকারী দল। অপরাধীদের গতিবিধি নির্দিষ্ট করার জন্য বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে। নিঃসন্দেহে জেলা পুলিশের একটি বড় সাফল্য।’’
গত ১৪ অক্টোবর মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা রেল কলোনি এলাকায় এক মধ্যবয়স্ক ব্যক্তির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় কিশোরীর বস্তাবন্দি দেহ। সে মামাবাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। যাঁর বাড়ি থেকে কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়, তাঁকে মারধর করেন স্থানীয়েরা। পুলিশ উদ্ধার করে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়। কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো ধারায় মামলা করা হয়। সেই মামলায় পকসো আদালতে চার্জশিট পেশ করল পুলিশ।