পুলিস ও বিএসএফ কর্মীদের কপালে ফোঁটা দিল মুর্শিদাবাদের কচিকাঁচারা
বর্তমান | ০৪ নভেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: রবিবার পুলিস, রেল পুলিস ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মীদের ভাইফোঁটা দিল কচিকাঁচারা। জলঙ্গি থেকে ভরতপুর, ডোমকল থেকে কান্দি, প্রান্তিক এলাকার শিশুরা ভাইফোঁটার খুশি ভাগ করে নিল জওয়ানদের সঙ্গে। ভাইফোঁটা দিয়ে মিষ্টিমুখ করানো হয় সকলকে। জেলাজুড়ে পিছিয়ে পড়া শিশুদের নিয়েও ভাইফোঁটার আয়োজন করে বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। বিভিন্ন হোমের শিশুদের এদিন ফোঁটা দেওয়া হয়। উপহার হিসেবে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় প্রয়োজনীয় সামগ্রী।
থালায় সাজানো চন্দন, দূর্বা ও ধান নিয়ে থানায় হাজির হয় ছোট্ট বালিকারা। বড়বাবু থেকে ছোটবাবু, বাদ গেলেন না কনস্টেবলরাও। সকলের কপালে ফোঁটা দিয়ে মিষ্টি খাইয়ে দিল বোনেরা। বিনিময়ে অনেক অফিসার তাদের হাতে তুলে দেয় উপহার। নওদা, ডোমকল, বহরমপুর, বেলডাঙা, হরিহরপাড়া, ভরতপুর থানায় সকাল থেকে ছিল একই ছবি। দিনভর হই হুল্লোড় করে শিশুরা থানার অফিসারদের সঙ্গে মেতে থাকল। কোথাও আবার পাতপেড়ে ভূরিভোজ করল ছেলেমেয়েরা। নওদা থানার ওসি শুভাশিস ঘোষাল বলেন, এই অভিনব উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। আজ ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা এই উৎসব পালন করে তাঁদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটি আরও সুন্দর করে তুলল। জলঙ্গি বিএসএফ ক্যাম্পের কমান্ডিং অফিসার ভগবান যাদব এই উৎসবে শামিল হতে পেরে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, আমার কর্মজীবনে এই প্রথমবার এমন কোনও কর্মসূচির ভাগীদার হতে পারলাম। অত্যন্ত খুশি হলাম। ছোট ছোট শিশুদের হাত দিয়ে এভাবে ভাইফোঁটা নিতে পেরে বাড়ির কথা খুব মনে পড়ছে। আগামী দিনে এই শিশুদের সঙ্গে যে কোনও কার্যকলাপে অবশ্যই সহযোগিতা করব আমরা সকলে। আজিমগঞ্জ আরপিএফের ইন্সপেক্টর ইনচার্জ ও পি মিনা বলেন, শিশুদের সঙ্গে নিয়ে সেচ্ছাসেবী সংস্থার এই কার্যকলাপ সত্যি প্রশংসনীয়। আজকের দিনটি এইভাবে উদযাপন করতে পেরে আমরা আপ্লুত। জলঙ্গির কিশোরী তৃষা মণ্ডল বলে, আমরা তো ভাই দাদাদের ফোঁটা দেই। কিন্তু এই যে যাঁরা পরিবার থেকে অনেক দূরে থেকে আমাদের রক্ষা করার কাজে সর্বক্ষণ আছেন তাঁদের ফোঁটা দিতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে।