নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: রবিবার ভাইফোঁটার দিন জমজমাট প্রচারের মধ্যেই জেলার শীর্ষ নেতা ও স্থানীয় নেতা-কর্মীদের ভাইফোঁটা দিলেন সিতাইয়ের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সঙ্গীতা রায়। কে নেই সেই তালিকায়? তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, দলের জেলা চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মন, দলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক সহ আরও বহু নেতা-কর্মীকে এদিন ভাইফোঁটা দেন সঙ্গীতাদেবী। সেইসঙ্গে চলে প্রচারও। কোচবিহারের সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া নিজেও এদিন প্রচার চালান। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহর এবার ভাইফোঁটা নেওয়া না হলেও তিনি এদিনও সিতাই উপ নির্বাচনের প্রচারের ময়দানে ছিলেন। দলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক তাঁর দিদির কাছ থেকে ভাইফোঁটা নিয়েছেন। সেই ছবি নিজের ফেসবুকে পোস্টও করেছেন।
এদিকে, বিজেপি পার্টি অফিসেও ধুমধাম করে ভাইফোঁটা পালিত হয়েছে। জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়, দলের জেলা সভাপতি সুকুমার রায় সহ আরও বহু নেতা এদিন বিজেপি পার্টি অফিসে আসেন। সেখানেই বিজেপির নেত্রীরা তাঁদের ভাইফোঁটা দিয়েছেন। অঞ্চল ভিত্তিক এলাকা ভাগ করে দলের দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতৃত্ব সিতাই উপ নির্বাচনের প্রচারেও অংশ নিচ্ছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, এদিন সকালে প্রথমে কোচবিহারের টাউন হাইস্কুলের এনএনসি’র ছাত্রীরা আমার বাড়িতে এসে আমাকে ভাইফোঁটা দিয়েছেন। পরে সিতাইয়ের প্রার্থী সঙ্গীতা রায় ভাইফোঁটা দিয়েছেন। এদিন চামটা এলাকায় তাঁর হয়ে প্রচার চালিয়েছি।
জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন, এদিন পেটলায় প্রচার চালিয়েছি। ব্লকের যে নেতাদের সঙ্গে প্রার্থীর দাদা-ভাইয়ের সম্পর্ক, তাঁদের তিনি ফোঁটা দিয়েছেন। রবিদা, গিরিনবাবু, অভিজিৎরাও প্রার্থীর থেকে ভাইফোঁটা নিয়েছেন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, দিদিরা বাইরে থাকেন। তাই ভাইফোঁটা নেওয়া হয়নি। সকাল সকাল প্রচারে বেরিয়ে পড়েছি। গোসানিমারি এলাকায় ঘুরেছি।
বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, দলের জেলা কার্যালয়ে ভাইফোঁটার অনুষ্ঠান হয়েছে। জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়, সিতাইয়ের প্রার্থী দীপক রায়, পর্যবেক্ষক ভূষণ মোদক, আমি সহ আরও বহু নেতা-কর্মী এদিন বোনেদের কাছ থেকে ভাইফোঁটা নিয়েছি। সিতাইয়ের প্রচারে পদাধিকারীরা যাচ্ছেন।
কোচবিহার জেলা জুড়েই এদিন ভাইফোঁটা পালিত হয়েছে। মিষ্টির প্যাকেট হাতে ভাইয়ের বাড়ি অথবা বোনেরা দাদাদের বাড়ি পৌঁছে গিয়েছেন সকাল সকাল। উৎসবের এই আবহেও কিন্তু বাদ যায়নি রাজনৈতিক প্রচার। জেলার বর্ষীয়ান নেতা থেকে শুরু করে অপেক্ষাকৃত নবীন প্রজন্মের নেতারাও এদিন পৌঁছে গিয়েছেন সিতাইতে। সামনেই সিতাইয়ের উপ নির্বাচন। তাই ভাইফোঁটা ও সেই সঙ্গে প্রচার দুইই চলেছে সিতাইয়ের মাটিতে। - নিজস্ব চিত্র।