বালিকাকে ব্ল্যাকমেল করে অপহরণ, ধৃত পূর্ব বর্ধমানের যুবক
বর্তমান | ০৪ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, কালিয়াগঞ্জ: ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে হেমতাবাদের নাবালিকাকে ব্ল্যাকমেল ও অপহরণের অভিযোগে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বাসিন্দা যুবককে গ্রেপ্তার করল পুলিস। হেমতাবাদ থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম শেখ গোলাম ওয়ারিস। শনিবার ভাতারের বাড়ি থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, গত ২৯ অক্টোবর হেমতাবাদের একাদশ শ্রেণীর ওই ছাত্রী সকালে টিউশন পড়তে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর হদিশ না পেয়ে পরিবারের লোকেরা হেমতাবাদ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে ওই নাবালিকা ও পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দার মধ্যে প্রেমের সম্পর্কের কথা। ওই নাবালিকার সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হয়েছিল যুবকের। কিছুদিন চ্যাটিংয়ের পর নাবালিকা তার কিছু ব্যক্তিগত ছবি পাঠায় যুবককে। সেই ছবি পেতেই নাবালিকার কাছে টাকা চেয়ে চাপ দিতে থাকে অভিযুক্ত। না দিলে ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেয়। ভয় পেয়ে নাবালিকা একাধিকবার যুবককে টাকা পাঠালেও থামেনি অভিযুক্ত। পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নিচ্ছে দেখে সম্মান বাঁচাতে দেখা করে ছবি ডিলিট করার কথা ভেবেছিল নাবালিকা। সেই প্রস্তাব শুনে অভিযুক্ত নাবালিকাকে মালদহে নিয়ে যায়। সেখানেই লুকিয়ে ছিল তারা।
পুলিস খবর পেয়ে শনিবার রাতে হানা দিতেই নাবালিকাকে ফেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। মালদহ থেকে নাবালিকাকে উদ্ধার করে পুলিস। পাশাপাশি ভাতার থেকে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত যুবককে। রবিবার দুপুরে তাকে রায়গঞ্জ আদালতে পেশ করা হয়। দু’টি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। মোট কত টাকা নাবালিকার কাছ থেকে অভিযুক্ত নিয়েছিল, তা জানার চেষ্টা চলছে। নাবালিকার পরিবারের দাবি, মেয়ে সবসময় মোবাইল নিয়ে থাকত। তবে গুরুতর কিছু ঘটছে বিন্দুমাত্র টের পাননি কেউ।
হেমতাবাদ থানার আইসি সুজিত লামা বলেন, নাবালিকাকে অপহরণে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তদন্ত করা হচ্ছে।