ফুলবাড়ি হাইস্কুল মাঠের সীমানা প্রাচীরের কাজ অসম্পূর্ণ, ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা
বর্তমান | ০৪ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: জেলা পরিষদের অর্থে শুরু হওয়া ফুলবাড়ি হাইস্কুল মাঠের সীমানা প্রাচীরের কাজ অসম্পূর্ণ থাকায় ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩-’২৪ আর্থিক বছরে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের ফান্ড থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রাচীরের একটা বড় অংশে প্লাস্টার ও রং হয়নি। ঠিকাদার কাজ শেষ না করেও জেলা পরিষদ থেকে বিল তুলে নিয়ে চলে গিয়েছেন। কাজের জায়গায় যে বোর্ড লাগানো হয়েছে, সেখানে শুরু ও শেষের তারিখও উল্লেখ করা হয়নি। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রাচীর তৈরির সময় বাসিন্দাদের একাংশ প্লাস্টার করতে বাধা দেন। কাজ আটকে যাওয়ায় স্থানীয় প্রশাসন, গঙ্গারামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রশাসনিক আধিকারিকদের গাছাড়া মনোভাবের কারণে সমাধানসূত্র বের হয়নি। দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকায় ঠিকাদার সংস্থা সবকিছু নিয়ে চলে যায়। তারপর থেকে প্রায় ছ’মাস কাজ থমকে রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা তথা স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি নারায়ণ বর্মনের কথায়, ঠিকাদার কাজ শেষ না করেও কীভাবে বিল পেয়ে গেল আমরা অবাক হচ্ছি। জেলা পরিষদের ইঞ্জিনিয়ার কাজের জায়গায় এসে দেখেছেন কিনা সন্দেহ রয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাত হলেই হাইস্কুল মাঠে বাড়ছে অসামাজিক কাজ। মাঠ খোলা থাকায় অনেকে সেখানে আবর্জনা ফেলতে শুরু করেছেন। প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, আমাদের স্কুলের বাউন্ডারি প্রাচীরের কাজ জেলা পরিষদ করছে। গাঁথনির কাজ শেষ হলেও প্লাস্টার ও রং করা বাকি রেখেছে ঠিকাদার সংস্থা। প্রাচীর লাগোয়া বাড়ির বাসিন্দারা বাধা দেওয়ায় কাজ বন্ধ হয়ে যায়। প্রশাসনকে অভিযোগ জানালেও সমাধান হয়নি।
এপ্রসঙ্গে জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম বলেন, মান বজায় রেখে কাজ শেষ করতে হবে ঠিকাদার সংস্থাকে। নাহলে বিল দেওয়া হয় না। বিষয়টি বিশদে জানা নেই। মঙ্গলবার অফিসে গিয়ে খোঁজ নেব। (ফুলবাড়ি হাইস্কুল মাঠে প্রাচীর তৈরির বোর্ড।-নিজস্ব চিত্র)