• বীরপাড়ার বাতাসে মিশছে ‘বিষ’, দলগাঁও স্টেশন থেকে ডলোমাইট সাইডিং সমস্যা উপ নির্বাচনে ইস্যু
    বর্তমান | ০৪ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: দলগাঁও স্টেশনে ডলোমাইটের লোডিং-আনলোডিং সাইডিং। যার জেরে বীরপাড়ার বাতাসে ছড়াচ্ছে ‘বিষ’। নাগরিকদের দাবি, এটি অন্যত্র সরানো হোক। কিন্তু, এত বছরে কোনও কাজই হয়নি। ‘ভয়েস অব বীরপাড়া’ নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ইতিমধ্যেই ডলোমাইট সাইডিং অন্যত্র সরানোর দাবিতে পথে নেমেছে। ফলে ডলোমাইট সাইডিংয়ের সমস্যা নিয়ে মাদারিহাট উপ নির্বাচনের আগে জোরচর্চা শুরু হয়েছে। উপ নির্বাচনে এবার এটাই বীরপাড়া শহরে অন্যতম নির্বাচনী ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপ নির্বাচনের আবহে ডলোমাইট সাইডিং অন্যত্র সরাতে আন্দোলনে নামছে বীরপাড়ার ওই অরাজনৈতিক সংস্থাটিও।

    ডলোমাইটের গুঁড়ো বীরপাড়ার বাতাসে ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয়রা ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া সহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। অভিযোগ, ডলোমাইটের জেরে বীরপাড়ার ঘরে ঘরে চর্ম রোগ ছড়িয়েছে। কিন্তু এলাকার রাজনৈতিক দলগুলির তা নিয়ে হুঁশ নেই বলে অভিযোগ। রাজনৈতিক দলগুলি এই ইস্যুতে পরস্পর চাপানউতোরেই ব্যস্ত।

    বর্তমানে দলগাঁও স্টেশনে ডলোমাইট লোডিং আনলোডিং বীরপাড়া শহরের জ্বলন্ত সমস্যা। ভুটানের পাগলি ও গোমটু থেকে রোজ কয়েকশো লরি -ডাম্পারে এই ডলোমাইট দলগাঁও স্টেশনে আসে। তারপর এখান থেকে সেই ডলোমাইট রেল তাঁদের বিভিন্ন স্টেশনে সরবরাহ করে থাকে। 

     ‘ভয়েস অব বীরপাড়া’র সভাপতি চতুর পানোয়ার বলেন, দলগাঁও স্টেশন থেকে ডলোমাইট সাইডিং অন্যত্র সরাতে কোনও রাজনৈতিক দলই আমাদের নিশ্চয়তা দিতে পারছে না। প্রতিশ্রুতির নামে ভাঁওতা দেওয়া হচ্ছে। সেই প্রতিশ্রুতিতে আমরা আর গলছি না। তাই ভোটের মধ্যেই আমরা ফের আন্দোলনে নামছি। 

    তবে কী ধরনের আন্দোলন হবে তা নিয়ে তারা এখনই মন্তব্য করতে নারাজ। সংগঠন সূত্রে খবর, ভোটের আবহের মধ্যেই ধর্না বা রেল রেকোর মতো কর্মসূচি নেওয়া হতে পারে। এদিকে বিজেপির ব্যর্থতা তুলে ধরে তৃণমূলের জেলা সভাপতি রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশচিক বরাইক বলেন, মাদারিহাটে বিজেপির দু’বারের বিধায়ক ছিলেন। এখন বিজেপির এমপির বাড়িও বীরপাড়ায়। তারপরও দলগাঁও স্টেশনের ডলোমাইট সাইডিং অন্যত্র সরছে না কেন, তার জবাব তো বিজেপিকেই দিতে হবে।

    পাল্টা তোপ দেগে বিজেপির জেলা সভাপতি তথা সাংসদ মনোজ টিগ্গা বলেন, দলগাঁও স্টেশন থেকে ডলোমাইট সাইডিং অন্যত্র নিয়ে যেতে রাজ্যের কাছে জমি চাওয়া হয়েছে। কিন্তু রাজ্য জমি না দেওয়ায় সেই কাজ থমকে আছে। - নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)