• বৃদ্ধ খুনে এখনও অধরা ৯, ক্ষোভে পথ অবরোধ, তোলাবাজির তত্ত্ব মানতে রাজি নয় পুলিস
    বর্তমান | ০৪ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: বৃদ্ধ মহম্মদ জোহুরি (৫৮) খুনের ঘটনা ঘিরে ফের উত্তেজনা রাজাহোলিতে। সেই ঘটনার দু’দিন পরও ৯ অভিযুক্ত অধরা। এতে এনজেপি থানার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় মহিলারা। রবিবার তাঁদের একাংশ রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। স্থানীয়দের অভিযোগ, তোলা দিতে রাজি না হওয়ায় ওই বৃদ্ধকে পিটিয়ে খুন করেছে অভিযুক্তরা। পুলিস স্থানীয়দের এই অভিযোগ মানতে নারাজ। তাদের দাবি, তাস খেলা নিয়ে বিরোধের জেরে ওই ঘটনা ঘটে।

    এদিন মৃতদেহ কবর দেওয়া হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বাড়ি থেকে মৃতদেহ গোরস্তানে নিয়ে যাওয়ার পর রাস্তায় নামেন স্থানীয় মহিলারা। তাঁরা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এনজেপি-তিনবাত্তি রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। তখন অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যদের একাংশ রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা বাঁধে। এনিয়ে এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। আতঙ্কে রাস্তার পাশের দোকানের ঝাপ বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা। এলাকা অঘোষিত বন্‌঩ধের চেহারা নেয়। খবর পেয়ে এনজেপি থানা থেকে মহিলা পুলিস বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এলাকায় টহল দেয় সশস্ত্র পুলিস বাহিনী।

    বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বৃদ্ধের খুনের  ঘটনায় ১০জনের নামে অভিযোগ করা হলেও পুলিস মাত্র একজনকে ধরতে পেরেছে। পুলিসের উদাসীনতার জন্যই বাকি ৯ অভিযুক্ত এখনও ধরা পড়েনি। তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। অভিযুক্ত ‘বাহুবলিদের’ গ্রেপ্তার করার দাবিতেই বিক্ষোভ দেখান মহিলারা।

    শিলিগুড়ির ডেপুটি পুলিস কমিশনার(পূর্ব) রাকেশ সিং বলেন, ওই খুনের ঘটনা নিয়ে কিছু মহিলার মধ্যে ঝামেলা হয়। তাঁদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। রাস্তা অবরোধের খবর নেই। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।

    অন্যদিকে, স্থানীয়দের অভিযোগ, খুনের ঘটনায় অভিযুক্তরা তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত। তারা এলাকায় ‘বাহুবলি’ হিসেবে খ্যাত। তোলা দিতে রাজি না হওয়ায় ওই বাহুবলিরা বৃদ্ধকে পিটিয়ে খুন করেছে। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস  সেই অভিযোগ খারিজ করেছে। ডেপুটি পুলিস কমিশনার(পূর্ব) বলেন, তাস খেলা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে মারপিট হয়। এতেই ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। এতে তোলাবাজির কোনও সম্পর্ক নেই।

    শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে তিনি খুন হন। তৃণমূল কংগ্রেসের দার্জিলিং জেলা সহসভাপতি(সমতল) জয়দীপ নন্দী বলেন, ওই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি পুলিসের কাছে জানানো হয়েছে।  (অবরোধকারীদের সরিয়ে দিচ্ছে পুলিস। - নিজস্ব চিত্র।)
  • Link to this news (বর্তমান)