ভেঙেছে একাধিক রাস্তা, বন্যার জল নামলেও বেহাল যোগাযোগ ব্যবস্থা
বর্তমান | ০৪ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, মানিকচক: বন্যা পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠলেও সমস্যা পিছু ছাড়ছে না ভূতনিবাসীকে। বন্যায় ভেঙে যাওয়া রাস্তায় বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ। কোথাও বাঁশের সাকো দিয়ে চলছে যাতায়াত। কোথাও ভাঙা রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে যাতায়াত করতে হচ্ছে মানুষকে। কোনও রাস্তায় বিশাল বিশাল গর্ত। ফলে যাতাযাত নিয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার ভূতনির তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েক হাজার বাসিন্দা। বন্যা পরিস্থিতির জেরে তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত মিলিয়ে কম করে কুড়িটি রাস্তা ভেঙে যাতায়াত ব্যবস্থা কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। যদিও রাস্তাগুলি সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি স্থানীয় বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, বিষয়টি ওপরমহলে জানানো হয়েছে। প্রতিনিধি দল এসে এলাকা ঘুরে গিয়েছে। ওপরমহল থেকে নির্দেশ এলেই রাস্তার কাজ শুরু হবে।
বন্যা পরিস্থিতির ফলে ভূতনির উত্তর ও দক্ষিণ চণ্ডীপুর, হিরানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বহু এলাকা জলমগ্ন ছিল প্রায় দু’মাস। গঙ্গা, ফুলহারের জল কমতেই সেই দুর্যোগ কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরেছেন দুর্গতরা। কিন্তু বাঁধ ও আশ্রয় শিবির থেকে দুর্গতরা বাড়ি ফিরলেও বন্যায় রাস্তাঘাট ভেঙে গিয়েছে। কোথাও সিমেন্টের রাস্তা ভেঙে গিয়েছে। কোথাও পিচের রাস্তা। কোথাও আবার রাস্তাই নেই। জলের তোড়ে রাস্তার চিহ্নই নেই। সড়কপথে যাতাযাত কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। কবে রাস্তা ঠিক হবে, তা নিয়ে চিন্তায় বাসিন্দারা।
স্থানীয়রা বলছেন, উত্তর চণ্ডীপুরের ওয়াহেদুল্লাটোলা থেকে রহমতপুর ও খসবরটোলা পর্যন্ত প্রায় আট কিমি ঢালাই রাস্তার কোনও চিহ্নই আর নেই। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ মানিকচক, মথুরাপুরে যাতায়াত করতেন। বেহাল রাস্তাগুলি দিয়ে চারচাকা গাড়ি চলাচল করতে না পারায় দুশ্চিন্তা বাড়ছে উত্তর চণ্ডীপুরবাসীর। স্থানীয় বাসিন্দা মুক্তার আলি বলেন, গ্রামে গাড়ি না ঢোকায় গর্ভবতী এবং রোগীদের নিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
একই অবস্থা শঙ্করটোলা থেকে গোবর্ধনটোলা পর্যন্ত রাস্তাটিরও। অন্যদিকে দক্ষিণ চণ্ডীপুরের নাসা, সনাতনটোলা থেকে ভূতনি দিয়ারা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র যাওয়ার রাস্তাটিও ভেঙে চৌচির। স্থানীয় দীপঙ্কর মণ্ডল বলেন, বন্যা পরিস্থিতির আগে ২০০ মিটার রাস্তা পঞ্চায়েত সমিতি করেছিল। সেই ঢালাই রাস্তা ভেঙে পড়েছে। প্রায় দেড় কিমি রাস্তা বন্যার পর যাতায়াতের অযোগ্য।
মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী বলেন, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের একটি দল এলাকা পরিদর্শন করেছে। মালদহ জেলা পরিষদের কাছেও রাস্তার সংস্কারের জন্য আবেদন করা হয়েছে। দ্রুত রাস্তার কাজ শুরু হবে। (ভূতনির ওয়াহেদুল্লাটোলা গ্রামের রাস্তায় বড় গর্ত। - নিজস্ব চিত্র।)