সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: শিয়রে উপ নির্বাচন। মাদারিহাটে বসে যাওয়া পুরনো নেতাদের ভোটের প্রচারের ময়দানে নামাচ্ছে তৃণমূল। খোদ তৃণমূলের জেলা সভাপতি রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশচিক বরাইক বসে যাওয়া দলের পুরনো নেতাদের সবাইকে ফোন করে দলীয় প্রার্থী জয়প্রকাশ টোপ্পোর হয়ে প্রচারে নামার অনুরোধ করছেন। অভিমান ভাঙাতে দলের পুরনো নেতাদের অনেকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারে নামারও অনুরোধ করছেন। দলের নিষ্ক্রিয় নেতারাও জেলা সভাপতির আহ্বানে আপ্লুত। দলীয় প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করতে তাঁদের অনেকে প্রচারেও নেমে পড়েছেন।
মাদারিহাটে তৃণমূলের পুরনো নেতাদের মধ্যে অন্যতম রশিদুল আলম। তিনি দীর্ঘদিন মাদারিহাট পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের দায়িত্ব সামলেছেন। গত পঞ্চায়েত ভোটেও তিনি জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু এবার আর দল স্থায়ী সমিতিতে স্থান দেয়নি। সেই অভিমানে রশিদুল সাহেব দল থেকে নিজেকে অনেকটাই গুটিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু উপ নির্বাচনে জেলা নেতৃত্বের অনুরোধে তিনি পুরোদস্তুর ভোটের প্রচারে নেমে পড়েছেন।
রশিদুল আলম বলেন, দলে যোগ্য সম্মান পাচ্ছিলাম না। অভিমান হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাই দলের কাজ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলাম। কিন্তু এখন সেই অভিমান নেই। জেলা নেতৃত্বের অনুরোধে দলীয় প্রার্থীর প্রচারে নেমে পড়েছি। এদিকে, সম্মান না পেয়ে তৃণমূলের চা শ্রমিক সংগঠনের অন্যতম নেতা মান্নালাল জৈনও বসে গিয়েছেন। তিনি বলেন, ভোট এসেছে। তাই এখন আমাদের দলের প্রয়োজন পড়ছে। দলের জেলা সভাপতি ফোন করে প্রচারে নামার অনুরোধ করেছেন। মমতা বন্দোপাধ্যায়কে দেখে দল করি। তাই দলীয় প্রার্থীর হয়ে অবশ্যই ভোটের প্রচারে নামব।
শুধু রশিদুল সাহেব বা মান্নালালবাবুই নন। মাদারিহাটের পদম লামা, বিশ্বজিৎ সাহা বা উৎপল রায়দের মতো বসে যাওয়া অনেক পুরনো নেতাকেই ভোটের কাজে লাগাচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্ব। পদম লামা ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে মাদারিহাটে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন।
তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি প্রকাশচিক বরাইক বলেন, দলে নব্য বা পুরনো বলে কিছু নেই। পুরনো নেতা-কর্মীরা দলের সম্পদ। তাঁদের অভিজ্ঞতা অনেক। নানা কারণে দলের প্রতি অভিমানে তাঁরা বসে গিয়েছেন। আমি নিজেই তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে উপ নির্বাচনের প্রচারে নামার অনুরোধ করছি। আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে উপ নির্বাচনে জিতে মাদারিহাট আসনটি দলনেত্রীকে উপহার দিতে চাই।