• চন্দননগর-ভদ্রেশ্বর মুড়ে ফেলা হচ্ছে বেনজির নিরাপত্তার চাদরে
    বর্তমান | ০৪ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: চন্দননগরের জগৎখ্যাত জগদ্ধাত্রীপুজোকে কেন্দ্র করে বেনজির নিরাপত্তা বলয় তৈরির পরিকল্পনা চন্দননগর কমিশনারেটের। ইতিমধ্যেই একাধিকবার পুজো সংক্রান্ত বৈঠকে বসেন পুলিস আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, সাম্প্রতিক অতীতের তুলনায় বেশি সংখ্যক পুলিস এবার পুজোয় মোতায়েন থাকবে। এই জেলার পাশাপাশি, ভিন জেলা থেকেও আনা হবে পুলিসকর্মী ও আধিকারিক। এছাড়া চন্দননগর ও সংলগ্ন রেলস্টেশনগুলিতে আরপিএফ এবং জিআরপির সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হবে। বহু মানুষ রেলপথে জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে চন্দননগরে আসেন। সে কারণেই এই পরিকল্পনা। রেলকর্তাদের সঙ্গে কমিশনারেটের তরফে এ সংক্রান্ত বৈঠকও হয়েছে। 

    চন্দননগরের পুলিস কমিশনার অমিত পি জাভালগি বলেন, ‘আমরা একাধিকস্তরে বৈঠক করেছি। পুজোয় অতিরিক্ত বাহিনী পাব। নিরাপত্তার সবরকমের ব্যবস্থা হয়েছে। রেলকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। স্টেশনগুলিতে বাড়তি নিরাপত্তা থাকবে। ফেরিঘাট যাতায়াতের রাস্তাতেও থাকবে বাড়তি নিরাপত্তা। পুজো নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করাই আমাদের লক্ষ্য।’ চন্দননগর কেন্দ্রীয় পুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ সাউ বলেন, ‘পুলিস কর্তাদের সঙ্গে আমাদের দফায় দফায় আলোচনা হয়েছে। আমরা সর্বোতভাবে সাহায্য করছি। পুলিস জানিয়েছে, এবার নিরাপত্তার বিপুল আয়োজন করা হয়েছে। চন্দননগরের পুজোর সুনাম বজায় রাখার জন্য আমরা সবরকম সহযোগিতা করব।’ 

    ২০২৪ সালে কেন্দ্রীয় কমিটির তালিকাভুক্ত পুজোর সংখ্যা ১৭৭। ১৩৩টি চন্দননগরে ও ৩৪ পুজো ভদ্রেশ্বর পুরসভার মধ্যে পড়ে। এছাড়াও পারিবারিক পুজো সহ বেশ কিছু পুজো ভদ্রেশ্বর ও চন্দননগরে হয়। হুগলি তো বটেই বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এ সময় সাবেক ফরাসি কলোনিতে আসেন। সময়ের সঙ্গে ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে সে ভিড় দিনের পর দিন লাফিয়ে বাড়ছে। এবছর পুজো শুরু হচ্ছে সাত নভেম্বর। ইতিমধ্যেই বিপুল ভিড় জমার ইঙ্গিত মিলেছে। উল্লেখ্য, একটি মাত্র পুরসভা এলাকাতে পুজোকে কেন্দ্র করে বেশি ভিড় জমে। আর কেবলমাত্র জিটি রোডকে কেন্দ্র করেই পুজোর আয়োজনের বাড়বাড়ন্ত। সবমিলিয়ে বিপুল ভিড়ের কারণে নিরাপত্তার বিষয়টি সবসময়ই প্রশাসনের মাথাব্যথার কারণ।

    পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজো পর্বের আগে থেকেই নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা শুরু হয়ে যাবে। সাদা পোশাকের বাহিনী সহ একাধিক থানায় অতিরিক্ত কর্মী মোতায়েন হচ্ছে। ট্রাফিক পুলিসকেও শক্তপোক্ত করা হচ্ছে। এক পুলিস আধিকারিক বলেন, চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বরকে ষষ্ঠীর কিছু আগে থেকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে দেওয়া হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)