দলীয় কোন্দলে হালতুতে পুজোর মণ্ডপে ভাঙচুর! আক্রান্ত দম্পতি
বর্তমান | ০৪ নভেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: হালতুতে নবীন সঙ্ঘের কালীপুজোর মণ্ডপ ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ফের প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূল বনাম তৃণমূলের দ্বন্দ্ব। এক পুজো উদ্যোক্তাকে মেরে চোখ ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। অভিযুক্ত ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার লিপিকা মান্নার অনুগামীরা। যদিও কাউন্সিলার বিষয়টি ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছেন। ঘটনায় কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, শনিবার রাতে হালতুর নবীন সঙ্ঘ ক্লাবের কালীপুজোর প্যান্ডেলে ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা। তারা লিপিকা মান্নার অনুগামী বলেই অভিযোগ করেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। সে সময়ে ক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এক দম্পতি তাদের বাধা দিতে গেলে বচসা বাধে। দুষ্কৃতীরা তাঁদেরকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। পুজো মণ্ডপে বেপরোয়া ভাঙচুর চালানো হয়। মণ্ডপের যাবতীয় সাজসজ্জা, চেয়ার টেবিল সবই ভাঙচুর করা হয়। ক্লাবের তরফে অভিযোগ, লিপিকা মান্নার লোকেরা এই এলাকার দখল নিতে চেয়েছিল। এর আগেও ক্লাব দখল করতে এসেছিল ওরা। ওই ক্লাব ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। বর্তমানে লিপিকা মান্না কাউন্সিলার হলেও গত ১২ বছর ধরে সেখানে কাউন্সিলার ছিলেন সুশান্ত ঘোষ। তিনি এবছর সেই কালীপুজোর উদ্বোধন করেন। সেই রাগ থেকেই সম্ভবত লিপিকা মান্নার অনুগামীরা এই ভাঙচুর চালায়।
এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে স্থানীয় বরো চেয়ারম্যান তথা ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সুশান্ত ঘোষ বলেন, যেটা হয়েছে, সেটা অন্যায়। শুনেছি পুলিসে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। দুষ্কৃতীদের যেন কেউ সহযোগিতা না করেন। প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পাক। আশা করি, টাকা-পয়সা দিয়ে কেউ কেস ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করবেন না।
এই ঘটনার পিছনে তাঁর অনুগামীরা রয়েছেন, সেই অভিযোগ অবশ্য কাউন্সিলার লিপিকা মান্না ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর কথায়, যখনই কোনও গণ্ডগোল হয়, তখনই এঁর অনুগামী, ওঁর অনুগামী বলে দোষ চাপিয়ে দিলে চলবে না। আইন আইনের পথে চলুক। - নিজস্ব চিত্র