নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: এক নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল মগরার দিগসুই-হোয়েরা পঞ্চায়েত এলাকায়। শনিবারের ওই ঘটনায় পুলিস অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। নির্যাতিতা ওই প্রতিবেশী যুবককে কাকা বলে সম্বোধন করে। ঘটনার জেরে গ্রামবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার বিজেপি নেতৃত্ব স্থানীয় তালাণ্ডু মোড়ে বিক্ষোভ দেখায়। এলাকার বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী গ্রামে গিয়েছিলেন। স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ ওই নাবালিকাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার আগামী বছরে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা।
হুগলি গ্রামীণ পুলিস জানিয়েছে, শনিবার রাতে সুরজিৎ রুইদাস নামের ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার পর সে পালিয়ে গিয়েছিল। তালাণ্ডু স্টেশন থেকে ওইদিনই গভীর রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারা ও পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী বলেন, ওই যুবকের অপরাধ প্রমাণ হলে তাকে নির্মম সাজা দেওয়া উচিত। অভিযুক্তের পরিবারের দাবি, সুরজিৎকে ফাঁসানো হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দুপুরে। অভিযুক্ত যুবক এলাকায় নেশাগ্রস্ত, বাউন্ডুলে হিসেবে পরিচিত। সে ওই নাবালিকার পাশের বাড়িতে থাকে। নাবালিকার বাবা লরিচালক ও মা পরিচারিকার কাজ করেন। পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় দুই পরিবারের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। সেই সূত্রে সুরজিৎকে কাকা বলে ডাকত নাবালিকা। অভিযোগ, শনিবার দুপুরে নাবালিকাকে বাড়িতে একা পেয়ে ওই যুবক তাকে ধর্ষণ করে। তারপর তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়। নাবালিকার বাবা তখন পাশেই কালীপুজোর মণ্ডপে গিয়েছিলেন। নাবালিকার ভাইয়ের কাছ থেকে খবর পেয়ে তিনি ছুটে আসেন। দ্রুত নাবালিকাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মেয়ের কাছে সব ঘটনা শুনে রাতে তার মা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। রাতেই তালাণ্ডু স্টেশন থেকে পুলিস অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।