• মহালয়া থেকে দশমী ৫৩ হাজার মেট্রিক টন অতিরিক্ত জঞ্জাল জুটল কলকাতার কপালে
    বর্তমান | ০৪ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শহরে প্রতিদিন গড়ে প্রায় তিন হাজার ৮০০ মেট্রিক টন আবর্জনা তৈরি হয়। পুরসভা তা ধাপায় নিয়ে গিয়ে ফেলে আসে। এবার দুর্গাপুজোর সময় দেখা গিয়েছে, বর্জ্যের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। পুরসভার জঞ্জাল সাফাই ও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের হিসেব অনুযায়ী, এ বছর মহালয়া থেকে দশমী পর্যন্ত মোট ১১ দিনে ৫২ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন অতিরিক্ত জঞ্জাল সংগ্রহ হয়েছে। ফলে ধাপার স্বাভাবিক জঞ্জাল ধারণ ক্ষমতা অতিক্রম করে গিয়েছে সংগৃহীত আবর্জনার পরিমাণ। বাড়তি জঞ্জাল নিয়ে কার্যত সাপের ছুঁচো গিলে ফেলার মতো অবস্থা। গিলতেও পারছে না। উগরাতেও পারছে না পুরসভা। 

    উৎসবের সময় শহরে দেদার হই-হুল্লোড় খানাপিনা করে মানুষ। স্থায়ী-অস্থায়ী দোকান থেকে পসরা বিক্রি হয়। উৎসবের সময় ঠাকুর দেখতে বা জিনিসপত্র কিনতে বাইরে থেকেও বহু মানুষ শহরে পা রাখেন। সবমিলিয়ে ভিড় বাড়ে। খাওয়াদাওয়ার পরিমাণ বাড়ে। অতিরিক্ত আবর্জনা জমে। এই পরিস্থিতি আন্দাজ করে এবার বাড়তি কর্মী নামিয়েছিল পুরসভা। প্রতিদিন দু’দফায় সাফাই কাজও হয়েছে বলে পুরসভার দাবি। বিভিন্ন মণ্ডপ চত্বরে সর্বক্ষণের সাফাইকর্মীও রাখা হয়েছিল। বিভাগীয় এক আধিকারিক বলেন, ‘রোজ প্রায় ১৮ শতাংশের বেশি বাড়তি বর্জ্য সংগ্রহ হয়েছে। প্রায় চার হাজার ৭০০ মেট্রিক টন অতিরিক্ত জঞ্জাল প্রতিদিন উঠেছে।’ 

    বর্জ্য পৃথকীকরণ ব্যবস্থা আগেই শহরে চালু হয়েছে। পচনশীল ও প্লাস্টিকজাত বা অপচনশীল বর্জ্য আলাদা বালতিতে জমাতে হচ্ছে। ধাপায় চালু হয়েছে পুনর্নবীকরণযোগ্য বর্জ্যর প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট। কিন্তু তারপরও সব অপচনশীল বর্জ্য পুনরায় ব্যবহারযোগ্য করে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। এক বিভাগীয় আধিকারিকের বক্তব্য, ‘ধাপায় পচনশীল বর্জ্য প্রসেসিং করে সার, বায়ো গ্যাস হচ্ছে। ফলে আমরা পচনশীল জঞ্জাল কমিয়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু উৎসেই জঞ্জাল পৃথকীকরণ ব্যবস্থা চালুর পর অচনশীল বা প্লাস্টিক বর্জ্য অনেক জড়ো হয়েছে, যা সব প্রসেসিং করা সম্ভব হয়নি। সেগুলি পড়ে থাকছে ধাপায়। ছড়াচ্ছে দূষণ। তার উপর পুজোর ক’দিন বাড়তি আবর্জনা ফেলতে হয়েছে। ফলে কার্যত আগের অবস্থা ফিরে এসেছে ধাপায়। জানি না, এত জঞ্জাল কত দিনে প্রসেসিং করা যাবে।’
  • Link to this news (বর্তমান)