নির্যাতিতার বাবা - মায়ের আমন্ত্রণে সোদপুরের বাড়িতে শুভেন্দু, হল একান্ত বৈঠক
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৪ নভেম্বর ২০২৪
ভাইফোঁটার সন্ধ্যায় আরজি কর মেডিক্যালের নির্যাতিতার ‘বোন’এর বাড়িতে গিয়ে তাঁর বাবা - মায়ের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার সন্ধ্যায় নির্যাতিতার বাবা - মায়ের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন তিনি। বৈঠক শেষে তিনি জানান, ওনাদের পরিবারের যে লড়াই সেই লড়াইয়ে বিরোধী দলনেতা হিসাবে একজন দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধি বা রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে ওনারা চান যেন আমি ওনাদের পাশে থাকি।
শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীর ফোন থেকে ওনার বাবা ফোন করেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যারের সরকারের দ্বারা পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সহযোগিতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ দফতরের বেতন পাওয়া সিভিক ভলান্টিয়ার কর্তৃক ও সন্দীপ ঘোষ, অভিজিৎ মণ্ডল, বিনীত গোয়েল, অভিষেক গুপ্তা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যে সরকারি ধর্ষণ ও খুন হয়েছে তার বিচার চান ওনারা।’
শুভেন্দুবাবু জানান, ‘ওনাদের সঙ্গে একান্তে কথা হয়েছে। হাতে গোনা কয়েকজন ছিলেন। ওনারা আমাকে বলেছেন, আপনি আমাদের মেয়েকে বোন বলেছেন। তাই বিচার দেওয়ার দায়িত্ব আপনার। আপনাকে আমার পরিবারের সঙ্গে থাকতে হবে। আমি নিঃশর্তভাবে তাঁর পরিবারের সঙ্গে ছিলাম। আজ থেকে বন্ধনটা আরও জোরদার হল। ওনার পরিবারের একজন শুভার্থী হিসাবে আমরা একসাথে বিচারের জন্য লড়ব। আর যারা তথ্যপ্রমাণ লোপাট করেছেন, বিচার দিতে চাইছেন না, যারা ধর্ষকদের আড়াল করছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি পথে ও সড়কে রাজনৈতিক উদ্দেশ ছাড়া লড়াই হবে।’
নির্যাতিতার বাবা - মা বিচার চেয়েছেন বলে জানিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘ওনারা আমাকে ২টো জিনিস বলেছেন, এই ২টো জায়গা থেকে ওনারা সরবেন না। ১. সংগঠিত ধর্ষণ হয়েছে। এর সঙ্গে যারা যুক্ত ও প্রমাণ লোপাটের সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের কঠিনতম শাস্তি। দ্বিতীয়, এটা সরকারি ধর্ষণ – হত্যা - প্রমাণ লোপাট। তাই সরকারেরও যাতে প্রকৃত বিচার হয় আইনের দরবারে ও জনতার আদালতে সেটা ওনারা চান।’
তবে অমিত শাহের সঙ্গে নির্যাতিতার বাবা মায়ের সাক্ষাতের ব্যাপারটি ধোঁয়াশাই রয়ে গিয়েছে। শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যাপারে আমি আমার বার্তা ওনাদের দিয়েছি। আমার নেতা অমিত শাহ জি যা বলেছেন সেটা আমি ওনাদের বলেছি। ওনাদের পরিবারের যে লড়াই সেই লড়াইয়ে বিরোধী দলনেতা হিসাবে একজন দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধি বা রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে ওনারা চান যেন আমি ওনাদের পাশে থাকি।’