আলিপুরদুয়ার জেলায় গত ২২ অক্টোবর বছর সাতেকের এক নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুন এবং পরে মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনার রেশ না কাটতেই গত শুক্রবার আলিপুরদুয়ার জেলাতেই সাড়ে ছয় বছর বয়সি এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। যে ঘটনায় এক অভিযুক্তকে পিটিয়ে মারে জনতা। অন্য এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। একই দিনে, অর্থাৎ শুক্রবারই জেলার আর এক প্রান্তে নয় বছরের এক বালিকাকে ধর্ষণ করা হয়বলে অভিযোগ।
এ দিন ওই নাবালিকাকে দেখতে হাসপাতালে যান মনোজ টিগ্গা। তার বাড়ির লোকেদের সঙ্গেও কথা বলেন। সেখান থেকে বেরিয়ে টিগ্গা বলেন, “উত্তরবঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ জেলা হওয়া সত্ত্বেও আলিপুরদুয়ারে গত শুক্রবার এখানে দু’টি জায়গায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটল। একটি নাবালিকাকে মেরে ফেলা হল। যা দুঃখজনক।’’ তার পরে তিনি যোগ করেন, ‘‘আর জি করের ঘটনার পরে আমরা ভেবেছিলাম, এ ধরনের ঘটনা থামবে। কিন্তু ক্রমশ বেড়েই চলছে। এই সরকার যদি মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারে, তা হলে রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রীরও নৈতিক ভাবে টিকে থাকার অধিকার নেই। তাঁর অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।” নয় বছরের নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তকে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে না নেওয়ায়, তারও সমালোচনা করেন টিগ্গা। বলেন, “এই সরকার আসলে দুষ্কৃতীদের আড়াল করার চেষ্টা করছে।”
প্রকাশ চিকবরাইক পাল্টা বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে আলিপুরদুয়ার জেলায় যে ক’টি এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে, সবগুলিতেই পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। নির্দিষ্ট ধারায় মামলা হয়েছে। বিজেপি নেতারা অযথা বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করছেন।” জেলায় সাড়ে ছয় বছরের যে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়, প্রকাশ এ দিন সেইবাড়িতেও যান।
এ দিকে সাড়ে ছয় বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অন্য অভিযুক্তকে শনিবার দশ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তবে পুলিশের একটি সূত্রের খবর, এলাকার পরিস্থিতি উত্তেজিত থাকায় ওই রাতে তাকে স্থানীয় থানার বদলে জেলার অন্য একটি থানায় রাখা হয়। যদিও পুলিশের আর এক সূত্রের দাবি, রাতে ওই অভিযুক্তকে এলাকার থানাতেই নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, “তদন্ত সঠিক পথে এগোচ্ছে।”