পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত নাসিম শেখের বাড়ি রঘুনাথগঞ্জ থানার আনন্দপুর গ্রামে। বছর কয়েক আগেও হকারির কাজ করতেন নাসিম। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার জন্য কাজ ছেড়ে দেন। নিজের বাড়িতে মায়ের সঙ্গে বিড়ি তৈরির কাজ করতেন। বিবাহিত হলেও ‘সমকামী সম্পর্কে’ জড়িয়ে পড়ায় কয়েক বছর আগে স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে চলে যান। তার পর থেকে বাড়িতে মায়ের সঙ্গেই থাকতেন নাসিম।
মৃতের আত্মীয় সুরজ শেখ বলেন, ‘‘শুক্রবার রাত ৭টা নাগাদ বাজার করতে যাওয়ার জন্য নাসিম বাড়ি থেকে বার হন। এর পর আর বাড়ি ফেরেননি। শুক্রবার সারা রাত বিভিন্ন জায়গায় নাসিমের সন্ধানে আমরা তল্লাশি চালালেও রাতে ওঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমরা জানতে পারি, নাসিমের দেহ নিউ মার্কেটের পাশে একটি গলিতে পড়ে রয়েছে। আমরা যখন দেহটি দেখতে পাই, তখন নাসিমের গায়ে একটি শার্ট আর পরনে লুঙ্গি ছিল। যদিও লুঙ্গিটি দেহের উপরের অংশ পর্যন্ত তোলা ছিল। এর পাশাপাশি নাসিমের নাকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমাদের অনুমান, ওঁকে খুন করা হয়েছে। যদিও নাসিমের কোনও শত্রু ছিল বলে আমার জানা নেই। নাসিম সমকামী সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। সেই জন্যই ওঁকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে।’’
জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় বলেন, ‘‘মৃত্যুর কারণ নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক তথ্য উঠে এসেছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সমকামী সম্পর্কের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।’’