কৃত্রিম মেধা এবং যন্ত্রের শেখার ক্ষমতা (মেশিন লার্নিং)-এর মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করে হাওড়ায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে বিশেষ সফটওয়্যারউদ্ভাবন করেছে পূর্ব রেল। হাওড়ায় ঝিল সাইডিংয়ে নির্দিষ্ট কোচিংডিপোয় ওই প্রযুক্তির ব্যবহারও শুরু হয়েছে। সাইডিং দেখাশোনার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তারাই ওই প্রযুক্তিতৈরি করেছেন বলে রেল সূত্রেরখবর।
ভারতীয় রেলে ইঞ্জিনের বিভিন্ন সমস্যার উপরে নজরদারি করার জন্য গত এক দশক ধরে রিমোট মনিটরিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অফ লোকোমোটিভস অ্যান্ড ট্রেন(আর ই এম এম এল ও টি) প্রযুক্তি নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা চলছিল। ডিজেল ইঞ্জিন দিয়ে পরীক্ষা শুরু হলেও সম্প্রতি নতুন সমস্ত ট্রেনে ওই প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে। হাওড়ায় থেকে চলা ইঞ্জিনবিহীন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মোটর কী ভাবে ট্রেন ছুটিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, তার নজরদারি শুরু হয় প্রথমে। ওই প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে পরের ধাপে কৃত্রিম মেধা এবং যন্ত্রের শেখার ক্ষমতা ব্যবহার করে কাজ শুরু করেন রেলের আধিকারিকেরা। নতুন ব্যবস্থায় বিভিন্ন পরিবেশে এবং বিভিন্ন গতিতেট্রেন ছোটার সময়ে সেটির বিভিন্ন যন্ত্রাংশের আচরণ কেমন হওয়া উচিত, তার গাণিতিক মডেল তৈরি করেছেন আধিকারিকেরা। ট্রেন ছোটার সময়ে বিভিন্ন যন্ত্র এবং একাধিক ব্যবস্থাপনার আচরণকেমন হচ্ছে, তার অনুপুঙ্খ তথ্য নথিভুক্ত করছে সার্ভার। যার ছাপানো রিপোর্ট পাচ্ছেন আধিকারিকেরা।
পরে কম্পিউটারের সাহায্যে ওই তথ্য নির্দিষ্ট গাণিতিক মডেলেরসঙ্গে মিলিয়ে ট্রেনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশের এবং ব্যবস্থাপনার সম্ভাব্যঅসুস্থতার হদিস মিলছে। ওই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ২২টি ক্ষেত্রেসম্ভাব্য বিপত্তি ঠেকানো গিয়েছে। রেলের পক্ষ থেকে ওই প্রযুক্তিকে আরও নিখুঁত করে তোলার চেষ্টা চলছে বলে সূত্রের খবর। যাতে, ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থা আরও উন্নত করা যায়।