কলকাতা পুরসভার ১৫৫ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত ওই বসতিতে সরু গলির দু’ধার দিয়ে বাড়ি। সেখানেই একটি বাড়িতে থাকেন সায়ন। বাড়িতে তাঁর বয়স্ক বাবা রয়েছেন। মা খুকুমণি কুন্ডুও অসুস্থ। রবিবার রাতে ওই সরু গলির মধ্যে তাঁদের বাড়ির সামনে শব্দবাজি ফাটানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার প্রতিবাদ করাতেই ‘আক্রান্ত’ হন সায়ন। প্রথমে স্ত্রীর অসুস্থতার কথা জানিয়ে বাড়ির সামনে শব্দবাজি ফাটানোয় আপত্তি জানিয়েছিলেন সুশীল। তা থেকেই বচসার সূত্রপাত। পরে সায়ন প্রতিবাদ জানাতে গেলে তাঁর উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ।
সুশীলের বক্তব্য, তাঁর স্ত্রীর হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা রয়েছে। পর পর শব্দবাজি ফাটতে থাকায় তাঁর স্ত্রীর নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিল। সেই কারণেই প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তিনি। এত জায়গা থাকতে কেন তাঁর বাড়ির সামনেই শব্দবাজি ফাটানো হচ্ছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন করেন সুশীল। কিন্তু তাঁর অনুরোধে কেউ কোনও গুরুত্বই দেয়নি বলে দাবি আক্রান্ত তরুণের পিতার। এর পর সায়ন প্রতিবাদ করতে আসায় তাঁকেও মারধর করা হয়। তরুণের অভিযোগ, ইট দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর। প্রায় ১৫-২০ জন মিলে তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ।
শুধু এন্টালিতেই নয়, আজাদগড় এলাকাতেও শব্দবাজি ফাটানোর প্রতিবাদ করায় এক ব্যক্তিকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সঞ্জয় ভট্টাচার্য নামে ওই অভিযোগকারীরও বাড়িতে অসুস্থ কাকা রয়েছেন। তিনি গুরুতর অসুস্থ বলে দাবি অভিযোগকারীর। রাত ১০টা নাগাদ তাঁর বাড়ির সামনে শব্দবাজি ফাটানোর প্রতিবাদ করায় একদল দুষ্কৃতী তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ। এই নিয়ে কলকাতা পুলিশের ডিসি (সাউথ)-কে একটি ইমেলও পাঠিয়েছেন অভিযোগকারী।