এমনই ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর-১ নং ব্লকের রাজনগর পশ্চিম এলাকায়। 'ডানা'র প্রভাবে বন্যা পরিস্থিতি ঘাটাল মহকুমা জুড়ে, শিলাবতী নদীর জল বেড়ে প্লাবিত হয়েছিল একাধিক এলাকা। মাঠ ভর্তি রয়েছে বন্যার জল, শিলাবতী নদীর জল কমতেই দাসপুর-১ নং ব্লকের রাজনগর পশ্চিম এলাকায়, মাঠের হাল বরারর জল ঢুকছে শিলাবতী নদীতে। হাল বরাবর মাঠের জল যাওয়াই যেকনো মুহূর্তে তলিয়ে যেতে পারে একটি একতলা পাকা বাড়ি।
ভেঙে পড়তে পারে কাঠের সেতুও। ফলে এইমত পরিস্থিতিতে বিচ্ছিন্ন হতে পারে যোগাযোগ ব্যবস্থাও। আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, বারবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হওয়া সত্ত্বেও। কোনো পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন। যদি এইভাবেই হাল বরাবর জল মাঠের ভেতরে ঢুকতে থাকে। তবে যে কোন মুহূর্তে ঘটতে পারে বড়সড় বিপদ।
আগাগোড়ায় শিলাবতী নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ার কারণে প্লাবিত হয় ঘাটাল পৌরসভার একাধিক ওয়ার্ড। কিছুদিন আগেই অতি বৃষ্টির ফলে ফুঁসে উঠেছিল শিলাবতী। ফলে সমস্ত হাঁটা পথ জলের তলায় চলে যায়। সেই কারণেই রেললাইন ধরে হেঁটে বাড়ি ফেরার পথে ট্রেনের ধাক্কা মৃত্যু হয়েছিল ৩ জনের।
এমনই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায়। রঘুনাথবাড়ি স্টেশনে নেমে রেললাইন ধরেই বাড়ির দিকে হাঁটছিলেন ওই ৩ ফলবিক্রেতা। কখনও যে ট্রেন চলে এসেছে, খেয়াল করেননি। ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান দু'জন। গুরুতর আহত হন আর একজন। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁরও।