পঞ্চায়েত মেম্বার রমজান মোল্লা তিনিই এই সমস্যার সমাধান করার জন্য এই সালিশি সভার ব্যবস্থা করেছিলেন। তার উপস্থিতিতেই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। সেখান থেকেই হাতাহাতি। ঘটনায় মারধর করা হয় চার মহিলাকে। যদিও স্থানীয়দের অভিযোগ, পারিবারিক জমি বিবাদ, সেই সমস্যা মেটানোর দায়িত্ব পঞ্চায়েত কেন নিল। তিনি আইনি পরামর্শ দিতে পারতেন। ঘটনায় আহত মহিলাদের ভর্তি করানো হয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ক্যানিং থানায়।
আহত এক মহিলা জানান, "বাবার সম্পত্তি ওটা। দশ কাঠা জমির দলিল আমাদের বোনদের নামে হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ভাইদের নামে এখনও হয়নি, সেই নিয়ে ঝামেলা চলছিল। সমস্যার সমাধানের জন্যই এই সালিশি সভা ডাকা হয়েছিল কিন্তু সেখানেই কথা কাটাকাটি শুরু হয় দিয়ে ভাইরা বোনেদের মারধর করে।"
কিছুদিন আগে কালিয়াচকে তরুণীকে প্রকাশ্যে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে নির্যাতন। সালিশি সভার নিদান। পরে পুলিস বাধা দিতে গেলে তাদের উপরও চলে হামলা। থানার আইসি'র গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি পুলিসকে লক্ষ্য করে চলে ইটপাটকেল। ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিসকর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানায় জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার শেরপুর গ্রামে। ঘটনা গত মঙ্গলবার রাতের। কিন্তু সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই নরেচরে বসে সকলে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এক যুগলকে আমবাগানে দেখতে পেয়ে পরকীয়া সম্পর্কের অভিযোগ তুলে তাঁদের 'আটক' করে গ্রামবাসীদের একাংশ। তারপর আমবাগান থেকে রাস্তায় তুলে এনে যুগলকে বেধড়ক মারধর শুরু হয়। বসে সালিশি সভা। তারপর শাস্তি স্বরূপ যুগলকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে নির্মম অত্যাচার চালানো হয় বলে অভিযোগ।