আরজি করে খুন ও ধর্ষণের মামলায় চার্জ গঠন করা হয়েছে সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে। এদিকে আদালত থেকে বেরিয়ে প্রিজন ভ্যান থেকে চিৎকার করতে শুরু করেন সঞ্জয়। তিনি বলতে থাকেন আমি রেপ ও মার্ডার করিনি।
আর অন্যদিকে আরজি করে দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল সন্দীপ ঘোষকে। সেই সন্দীপ ঘোষ ইতিমধ্য়েই আদালতে জামিনের জন্য় আবেদন করেছিলেন। তিনি দাবি করেছেন প্রমাণ লোপাটের যে অভিযোগ করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে তার কোনও প্রমাণ নেই।
এমনকী তাঁর আইনজীবী এদিন সেই প্রসঙ্গটা তুলে ধরেন বিচারপতিদের কাছে। তিনি বলেন, জামিনের আবেদন করছি। প্রথম চার্জশিটে খুন ও ধর্ষণের কথা বলা হয়েছে। এখন বলা হচ্ছে প্রমাণ লোপাটের কথা। একটা প্রমাণ দেখাক।
সেই সঙ্গেই সন্দীপের আইনজীবী জানিয়েছেন, সংবাদমাধ্যম আমার মক্কেলের যে ভাবমূর্তি তৈরি করেছে তাতে' যদি বলা হয় যে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার ঘটনায় ওসামা বিন লাদেনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ বাংলার মানুষ সেটাই বিশ্বাস করবেন।'
কার্যত সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে যেভাবে বার বার গর্জে উঠেছে বাংলার মানুষ সেটাকেই কার্যত কিছুটা তির্যকভাবে আদালতের সামনে তুলে ধরলেন আইনজীবী। এমনটাই মনে করা হচ্ছে। তবে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় সন্দীপ ঘোষের নাম এখনও জড়ায়নি। এমনকী সিবিআইয়ের পেশ করা চার্জশিটে তার নাম নেই। তবে সেই চার্জশিটকে ঘিরে ইতিমধ্য়েই আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা বার বার প্রশ্ন তুলেছেন। সেই চার্জশিটের সারবত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারা। তবে সিবিআই যে কেবলমাত্র দুর্নীতির ঘটনায় সন্দীপের বিরুদ্ধে আঙুল তুলছেন এমনটা নয়। তার বাইরেও সন্দীপ ঘোষের কোনও ভূমিকা ছিল কি না সেটাও খতিয়ে দেখছে সিবিআই।
এদিকে আরজি কর হাসপাতালে খুনের ঘটনার ৮৭ দিন ও সিবিআইয়ের চার্জশিট পেশের ২৮ দিনের মাথায় এই চার্জ গঠন প্রক্রিয়া শেষ হল। এবার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে ধৃত সঞ্জয় রায়ের।
সোমবার দুপুরে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে সঞ্জয়কে নিয়ে আসা হয়েছিল শিয়ালদা আদালতে। কড়া পুলিশি পাহারা। দূর থেকে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় ধরা পড়ে সঞ্জয় রায়ের ছবি। আদালতে চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া শেষ হতেই বের করা হয় সঞ্জয় রায়কে। এরপর প্রিজন ভ্য়ানে তোলা হয় তাকে। ভ্য়ানের একেবারে সামনের দিকে ছিল সঞ্জয়। আর সেই সময় সংবাদমাধ্য়মের ক্যামেরার সামনে কার্যত প্রথমবার এভাবে বিস্ফোরকভাবে মুখ খুলল সঞ্জয়। প্রিজন ভ্যানের মধ্য়ে কার্যত ফুঁসছিল সঞ্জয়।