• ভালো লাগছে না!…ভাইফোঁটার অনুষ্ঠানে গেলেন না দিলীপ ঘোষ, আসল কারণ জানলে চমকে যাবেন
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৪ নভেম্বর ২০২৪
  • ভাইফোঁটায় অনেকেই বোন বা দিদির কাছ থেকে ফোঁটা নিলেন। কিন্তু ব্যতিক্রম খালি দিলীপ ঘোষ। তিনি বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। রাজ্য সভাপতি থাকার সময় তাঁকে ঘিরে ভাইফোঁটার উৎসাহ থাকত একেবারে চোখে পড়ার মতো। তবে এবার কিছুটা ব্যতিক্রম। এবার তিনি ভাইফোঁটার দিন বাড়ি থেকে বের হলেন না। কারণটা একেবারেই ভিন্ন। 

    আসলে এভাবে ভাইফোঁটার দিন দিলীপ ঘোষকে ভাইফোঁটার অনুষ্ঠানে দেখা গেল না, এটা ভাবাচ্ছে অনেককেই। তবে এনিয়ে আসল কারণটাও দিলীপ ঘোষ তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন বলে খবর। কী সেই কারণ? 

    সূত্রের খবর, যখন বোনেদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারব না তখন আর ভাইফোঁটা নিয়ে কি লাভ? খোদ দিলীপ ঘোষ এনিয়ে ঘনিষ্ঠ মহলে আফশোস করেছেন। সেই সঙ্গেই তিনি ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছেন, বাংলার যা পরিস্থিতি তাতে বোনদের রক্ষা করাটা বেশ কষ্টের। সেকারণেই তিনি এবার ভাইফোঁটা কার্যত বয়কট করেছেন। 

    তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি ভাইফোঁটার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। দিলীপ ঘোষ লিখেছেন, ভাই বোনের সুন্দর সম্পর্কের উদযাপন এই ভাইফোঁটা। আসুন আমরা সকল বোনদের রক্ষা করার অঙ্গীকার নিই। তবে সমস্ত বিজেপি নেতারাই যে ভাইফোঁটার অনুষ্ঠান বয়কট করেছেন তেমনটা নয়। একাধিক বিজেপি নেতা ভাইফোঁটার অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। তবে দিলীপ ঘোষ এই ধরনের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে চাননি। আসলে নারী সুরক্ষার বিষয়টি ভাবাচ্ছে তাঁকে। কীভাবে এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই মিলবে সেটাও বোঝা যাচ্ছে না। সেকারণেই উদ্বেগের দিলীপ ঘোষ। 

    তবে শুধু যে এই উদ্বেগ দিলীপ ঘোষের মধ্য়ে ছড়িয়েছে তেমনটা নয়। ভাইফোঁটার দিন চেতলা অগ্রণীতে ভাইফোঁটার অনুষ্ঠান হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেখানে ভাইফোঁটার অনুষ্ঠানে অংশ নিলেও তিনি নারীদের সুরক্ষা নিয়ে অত্যন্ত উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। 

    ফিরহাদ হাকিম বলেন, আমরা মাতৃপূজা করি। আমরা নারীজাতিকে মায়ের রূপে দেখি। সেখানে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা দেশকে কলঙ্কিত করছে। রাজ্যকে কলঙ্কিত করছে। কেন হচ্ছে দেখতে হবে। কঠোর শাস্তি দিলে কাঁপবে লোকে। মানবিকতার অপমান। প্রতিবাদ করতে হবে। একের পর এক ঘটনা কেন ঘটছে সেটা দেখতে হবে।

    ফিরহাদ হাকিম বলেন, কঠোর শাস্তির জন্য আমরা সবসময় বলছি। মৃত্যুদণ্ডটা একমাত্র শাস্তি। একজনকে ধর্ষণ করা মানে তার জীবনটা শেষ করে দেওয়া। সেই মেয়েটা আর কোনও দিন ভালো জীবনে যাবে না। পরিবারটা আর সুস্থতার সঙ্গে বাঁচতে পারবে না।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)