স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রজনীশের বয়স ৫৫ বছর। তিনি উত্তরপ্রদেশের মহম্মদপুরের বাসিন্দা। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহর লাগোয়া দ্বারিকা শিল্পতালুকের একটি বেসরকারি ইস্পাত কারখানায় দীর্ঘ দিন ধরে ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ করতেন তিনি। রজনীশ বিষ্ণুপুর শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ধূলাপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, অন্যান্য দিনের মতো রজনীশ রবিবার রাতে কারখানার কাজ সেরে বাড়ি ফেরেন। তার পর খাওয়াদাওয়া করে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। সোমবার সকালে স্থানীয় এক বাসিন্দা দেখেন রজনীশের দেহ পড়ে রয়েছে বাড়ির দাওয়ায়। বিষ্ণুপুর থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ তড়িঘড়ি দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
রজনীশ যেখানে ভাড়া থাকতেন, সেই বাড়ির মালিক জয়শ্রী চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দিন কয়েক আগে জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন রজনীশ। তার পরও তিনি কারখানায় নিয়মিত কাজে যেতেন। রবিবার রাতে কাজ থেকে ফিরে শুয়ে পড়েন তিনি। তার পর কী ভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা বুঝতে পারছি না।’’ বিষ্ণুপুরের এসডিপিও সুপ্রকাশ দাস বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে ওই ব্যক্তির দেহে আঘাতের কোনও চিহ্ন মেলেনি। মৃতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। ঘটনার কথা জানার পর তারা বিষ্ণুপুরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’