ভারতীয় সংবিধানের প্রসঙ্গ তুলে ‘ন্যায়’ নিয়েও প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় ধৃত ওই সিভিককে। চিৎকার করে তিনি বলতে থাকেন, “আমি জজসাহেবকে বলছি যে স্যর, আমি কিছু করিনি। আমায় উপর থেকে নীচে নামিয়ে দিল। এটা কি ন্যায়? ভারতীয় সংবিধানের ন্যায়?”
সোমবার দুপুরেই শিয়ালদহ আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের মামলায় অভিযুক্তকে। চারদিকে ছিল নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ঘেরাটোপ। তার মাঝেই প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে শিয়ালদহ আদালতে নিয়ে আসা হয় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারকে। চার্জ গঠনের পর তাঁকে যখন ফের সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, সেই সময় প্রিজ়ন ভ্যানের ভিতর থেকে চিৎকার করতে থাকেন তিনি। বলেন, “আমি এত দিন চুপচাপ ছিলাম। আমি কিন্তু রেপ (ধর্ষণ) অ্যান্ড (এবং) মার্ডার (খুন) করিনি। আমার কথা শুনছে না। সরকারই আমাকে ফাঁসাচ্ছে। আমি এত দিন চুপচাপ ছিলাম।” একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “আমায় সব জায়গায় ভয় দেখাচ্ছে যে, তুমি কিছু বলবে না, তুমি কিছু বলবে না। আমার ডিপার্টমেন্টও আমায় ভয় দেখিয়েছে। আমি কিন্তু নির্দোষ।”
সোমবার দুপুর ২টো নাগাদ ধর্ষণ এবং খুনের একাধিক ধারায় ধৃত সিভিকের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ঘটনার ৮৭ দিন এবং সিবিআইয়ের চার্জশিট পেশের ২৮ দিনের মাথায় ওই মামলায় চার্জ গঠন সম্পন্ন হয়েছে। তার পর শুরু হবে বিচারপ্রক্রিয়া। আদালতে জানানো হয়েছে, আগামী ১১ নভেম্বর থেকে ওই মামলায় শুনানি শুরু হতে চলেছে। শুনানি চলবে রোজ। আদালত সূত্রে খবর, বিচারকের সামনেও নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন আরজি কর হাসপাতালের ধর্ষণ-খুনকাণ্ডে একমাত্র অভিযুক্ত ধৃত ওই সিভিক।