জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের অন্যতম ‘মুখ’ কিঞ্জল বলেন, ‘‘প্রায় তিন মাস হতে চলল। এই ঘটনায় এক জন ছাড়া কেউ গ্রেফতার হননি। আমরা প্রত্যেকেই জানি, যে নারকীয় ঘটনা ঘটেছে, তা কোনও এক জনের পক্ষে ঘটানো সম্ভব নয়। তা হলে সিবিআই এত দিন ধরে কী করছে? কেন গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না?’’ আরজি কর-কাণ্ডে সিবিআই যে প্রাথমিক চার্জশিট জমা দিয়েছে, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, খুন এবং ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত এক জনই।
সোমবার ধৃতকে আদালত থেকে বার করার সময় তিনি প্রিজন ভ্যান থেকে চিৎকার করতে থাকেন। বলেন, ‘‘আসলদের বাঁচানোর জন্য আমায় ফাঁসিয়েছে। আমি জজসাহেবকে বলছি যে, স্যর, আমি কিছু করিনি। আমায় উপর থেকে নীচে নামিয়ে দিল। এটা কি ন্যায়? ভারতীয় সংবিধানের ন্যায়?” তিনি এ-ও বলেছেন, ‘‘আমি এত দিন চুপচাপ ছিলাম। আমি কিন্তু রেপ (ধর্ষণ) অ্যান্ড (এবং) মার্ডার (খুন) করিনি। আমার কথা শুনছে না। সরকারই ফাঁসাচ্ছে। আমি এত দিন চুপচাপ ছিলাম।” সোমবার দুপুর ২টো নাগাদ ধর্ষণ এবং খুনের একাধিক ধারায় ধৃত সিভিকের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ঘটনার ৮৭ দিন এবং সিবিআইয়ের চার্জশিট পেশের ২৮ দিনের মাথায় ওই মামলায় চার্জ গঠন সম্পন্ন হয়েছে। তার পর শুরু হবে বিচারপ্রক্রিয়া। আগামী ১১ নভেম্বর থেকে ওই মামলায় শুনানি শুরু হতে চলেছে। শুনানি চলবে রোজ।
গত শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছিলেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারেরা। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট, ফরেন্সিক ল্যাবে নমুনা পাঠানোর সময়ের ব্যবধান তুলে ধরে জুনিয়র ডাক্তারেরা প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেন এই বিষয়গুলি সিবিআই স্পষ্ট করছে না। সোমবার সঞ্জয়ের মন্তব্যের পরে ফের সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন কিঞ্জল ।