কলেজ স্ট্রিট, বেহালা, গড়িয়া মোড়, কাঁকুড়গাছি, যাদবপুর সুপারমার্কেট, ব্যান্ডেল, রাসবিহারী মোড়-সহ নানা জায়গায় প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন বহু মানুষ। কোথাও কোথাও রাস্তা দখল করে চলছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। গড়িয়া মোড়ের জমায়েতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিবাদে যোগ দিয়েছেন অনেকে। কলেজ স্ট্রিটে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে হাতে মশাল, মোমবাতি, প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিভিন্ন বয়সের মানুষ প্রতিবাদী জমায়েতে অংশ নিয়েছেন। একই রকম চিত্র যাদবপুর এইট বি চত্বরেও। সেখানে রাস্তায় মোমবাতি জ্বালিয়ে চলছে প্রতিবাদ। রাসবিহারী মোড়ের জমায়েতে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। সোমবার আরজি করকাণ্ডে একমাত্র অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘সিবিআইয়ের চার্জশিট নিয়ে মানুষের মনে ক্ষোভ রয়েছে। তদন্তপ্রক্রিয়া নিয়েও এখনও অনেকের মনে প্রশ্ন রয়েছে।’’
প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুরেই শিয়ালদহ আদালতে আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের মামলায় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। আগামী সপ্তাহেই শুরু হতে চলেছে বিচারপ্রক্রিয়া। আগামী ১১ নভেম্বর থেকে ওই মামলায় রোজ শুনানি চলবে বলে জানিয়েছে আদালত। অন্য দিকে, আরজি করে আর্থিক দুর্নীতি মামলার শুনানি হয়েছে আলিপুর আদালতে। সেখানে পেশ করা হয়েছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল-সহ পাঁচ অভিযুক্তকে।
সপ্তাহখানেক আগেই আরজি কর-কাণ্ডে বিচারের দাবিতে ৮০টিরও বেশি সংগঠন একত্রিত হয়ে তৈরি করেছে ‘অভয়া মঞ্চ’। তাদের মূল দাবি, আরজি কর হাসপাতালের নির্যাতিতার ন্যায়বিচার। পাশাপাশি রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলির হুমকি সংস্কৃতির বিরুদ্ধেও আন্দোলন করার বার্তা দিয়েছে নবগঠিত এই মঞ্চ। গত ৩০ অক্টোবর এই মঞ্চের ডাকেই ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত মশাল হাতে মিছিল হয়েছে। সেই মঞ্চের উদ্যোগেই সোমবার পালিত হল ‘দ্রোহের আলো জ্বালো’ কর্মসূচি। প্রাথমিক ভাবে, সোমবার কলেজ স্ট্রিট চত্বরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ওই কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। তবে কলেজ স্ট্রিট ছাড়াও সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন প্রান্তে, পাড়ায় পাড়ায়, ঘরে ঘরে ওই কর্মসূচি চলবে— এমনটাই জানিয়েছিলেন তাঁরা। এর পর আগামী ৯ নভেম্বর রানি রাসমণি রোডে আর একটি প্রতিবাদী জমায়েতের ডাক দিয়েছে ‘অভয়া মঞ্চ’।