আরজি দুর্নীতি মামলায় জেল হেফাজতেই ছিলেন সন্দীপ ও অভিজিত্। দু'জনকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল শিয়ালদহ আদালত। মেয়াদ শেষে, ফের তাঁদের পেশ করা হল আদালত। কবে? আজ, সোমবার। শুনানিতে সন্দীপ ও অভিজিতের ১৪ দিন জেল হেফাজতের আর্জি জানায় সিবিআই।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষে আইনজীবী বলেন, 'আমরা কিছু প্রমাণ পেয়েছি যার মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে এই দুজন একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগে ছিলেন ঘটনার পর। কেন ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল সেটার তদন্ত চলছে। চার্জশিটে আমরা বলিনি সঞ্জয় একাই যুক্ত। সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে বায়োলজিক্যাল প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। তাই ভারতীয় ন্যায় সুরক্ষা সংহিতা মেনে ৬০ দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। ষড়যন্ত্র ছিল কিনা তার তদন্ত করা হচ্ছে। এখনই সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মন্ডলকে ক্লিনচিট দিচ্ছে না CBI'।
পাল্টা জামিনের আবেদন করেন সন্দীপ। তাঁর আইনজীবীর সওয়াল, 'প্রথম চার্জশিটে শুধুই ধর্ষণ ও খুনের কথা বলা হয়েছে। এখন প্রমাণ লোপাটের কথা বলছে। একটা প্রমাণ দেখাক'। জামিনের আবেদন অবশ্য খারিজ হয়ে যায়। সন্দীপ এবং অভিজিত্-কে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ শিয়ালদহ আদালত।
ঘটনাটি ঠিক কী? তরুণী চিকিত্সক ধর্ষণ ও খুনের সূত্রে ধরেই সামনে এসেছে আরজি করে 'দুর্নীতি'। অভিযুক্ত আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। সিট গঠন করেছিল রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর। কিন্তু এই মামলাতেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সন্দীপকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।