এবার প্রাক্তন সাংসদ তথা বর্তমানে বিজেপি নেতা অর্জুন সিংকে সিআইডি তলব। বিজেপির দাবি নৈহাটির ভোটের আগেই এভাবে অর্জুন সিংকে তলব করার কোনও যুক্তি নেই। এনিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।
তিনি এক্স হ্যান্ডেলে সেই চিঠির কপি তুলে ধরে পুলিশকে কার্যত তুলোধোনা করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘দুধ দিয়ে কয়লা ধুলেও তার রঙের বদল হয় না, কুকুরের লেজ সোজা হয় না। কোর্টে যতই ধাক্কা খাক না কেন! মিডিয়ার যতই সমালোচনা হোক না কেন মমতার পুলিশের হুঁশ ফেরে না। টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল যিনি জিডি, এফআইআরের সময় ওলটপালট করে ফেলেছিলেন তারপরেও শিক্ষা হয়নি পুলিশের।’
‘এবার সিআইডি সিআরপিসি ১৬০ ধারায় সিনিয়র বিজেপি নেতা, প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংকে তলব করেছে। ১২ই নভেম্বর তাঁকে হাজির হতে বলা হয়েছে। আর আশ্চর্যজনকভাবে নোটিশতে সই করা হয়েছে ৫ তারিখে। আর সেটা পাঠানো হয়েছে ৪ নভেম্বর। তবে কি রাজ্যের সিআইডির কাছে টাইম মেশিন রয়েছে! সেটা কেমন আমরা জানি না।’
‘অপরদিকে ব্যারাকপুরের এক সিনিয়র বিজেপি নেতাকে ১২ই নভেম্বর ডাকা হল। নৈহাটির উপনির্বাচনের ঠিক আগে। সেটা পাঠানো হল ভোটের এক সপ্তাহ আগে। এটা থেকেই আসল রাজনৈতিক অভিপ্রায়টা বোঝা গিয়েছে। রাজ্য়ের এজেন্সির বিরুদ্ধে আমরা এনিয়ে আদালতে যাব। আসলে কেউ যখন কর্তৃত্বকে অপব্যবহার করে কিছু করার চেষ্টা করে তখনই এই ধরনের সময় আর তারিখের গণ্ডগোল হয়ে যায়।’ লিখেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিকে সামনেই নৈহাটি উপনির্বাচন। তার আগে অর্জুন সিংকে তলবের ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তবে এবার এনিয়ে আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত আদালতে এনিয়ে কী সিদ্ধান্ত হয় সেটাই দেখার।
এদিকে দলবদলের জেরে কার্যত একেবারে রেকর্ড করে ফেলেছেন অর্জুন সিং। কখন তিনি তৃণমূলে আর কখন তিনি বিজেমী মুখী আবার কখন তিনি বিজেপিতে থেকেও তৃণমূলের দিকে ঝুঁকে গিয়েছেন আবার তখন তৃণমূলে থেকেও তিনি বিক্ষুব্ধ তা নিয়ে কম আলোচনা হয় না। তবে সামনেই নৈহাটির ভোট। তবে বিজেপিতে থাকলেও অর্জুন সিং গেরুয়া রাজনীতিতেও বিশেষ সক্রিয় নন। তবে কি তলায় তলায় তিনি যাতে ঘুঁটি সাজাতে না পারেন সেকারণেই কি এবার অর্জুনকে চাপে রাখতেই আগাম তলব করল সিআইডি?