• তৃণমূল কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে মার ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ
    বর্তমান | ০৫ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: টাকা ধার নিয়ে কিছুতেই শোধ করছিল না এক যুবক। একবছর ধরে বারবার ঘোরাচ্ছিল বলে অভিযোগ। রবিবার সন্ধ্যায় কাশিমবাজার পালপাড়ার বাসিন্দা রাহুল রায়চৌধুরীর কাছে সেই টাকা চাইতে গিয়ে মার খেতে হল এক দম্পতিকে। এমনকী মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগও উঠছে। বহরমপুর পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার বাবন রায়ের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছেন ওই মহিলা। তৃণমূল নেতার দাদাগিরির ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে বহরমপুরে। যদিও শ্লীলতাহানির অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যে বলেই দাবি করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলার তথা শহর তৃণমূলের সভাপতি। তাঁর দাবি, এলাকার ছেলেকে যখন বাইরের লোকজন এসে মারছিল, তখন গণ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে মানুষ। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। 

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওইদিন রাতে পালপাড়ায় টাকা আদায়ের জন্য ওই মহিলার স্বামী বেশ কয়েকজনকে সঙ্গে করে নিয়ে যায়। রাহুলের সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। রাহুল এবং তার এক বন্ধুকে মারধর করে তারা। এলাকার মহিলারা জড়ো হয়ে তাতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে ওই মহিলা এসে স্থানীয়দের সঙ্গে বচসা ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। সে সময়েই সেখানে উপস্থিত ছিলেন ওই কাউন্সিলার। তাঁরই নেতৃত্বে মহিলার উপরে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ। 

    নির্যাতিতা ওই মহিলার দাবি, কাশিমবাজারের পালপাড়ার এক যুবককে আমার স্বামী টাকা ধার দিয়েছিল। গত এক বছর ধরে টাকা দেওয়ার নাম করে সে ঘোরাচ্ছে। রবিবার রাতে আমার স্বামী যখন কয়েকজনকে নিয়ে তার কাছে টাকা আনতে যায়, তখন তাদের আটকে রেখে বেধড়ক মারধর করা হয়। ওখান থেকে আমাকে ফোন করলে, আমি আমার ছেলেকে নিয়ে যাই। বাবন এবং ওর কয়েকজন ছেলে আমাকে মারধর করেছে এবং আমার শ্লীলতাহানি করেছে। তিনি আরও বলেন, আমার ১৬ বছরের ছেলেকেও ওরা মেরেছে। আমার বিভিন্ন গোপনাঙ্গে হাত দেওয়া হচ্ছিল। বাগানের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। পুলিস গিয়ে আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। আমার শরীরের একাধিক আঘাত লেগেছে। মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা করিয়েছি।  কাউন্সিলার হয়ে যদি এমন করে, তাহলে নারীদের সুরক্ষা কে দেবে? আইনি পথে এর সুরাহা চাইছি। 

    যদিও বাবন রায় বলেন, রাহুলকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এলাকার মানুষ যদি না থাকত, তাহলে হয়তো রাহুলকে মেরেই দিত। আমি জনপ্রতিনিধি হিসেবে খবর পেয়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করি। ওই মহিলা যে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যে। ওরা এখন সাজিয়ে এই ঘটনায় আমাকে জড়াতে চাইছে। আইন আইনের পথে চলবে। ওই ব্যক্তি সুদে টাকা খাটায়। জুয়াড়িদের টাকা ধার দেয়। ওর বিরুদ্ধেও পুলিসকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলব।
  • Link to this news (বর্তমান)