হাড়োয়ার তৃণমূল প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্টের নামে বিতর্কিত পোস্টার
বর্তমান | ০৫ নভেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: হাড়োয়া বিধানসভা উপ নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্টের নামে পোস্টার পড়ল এলাকায়। তাঁর বিরুদ্ধে জমি দখল থেকে হুমকি, একাধিক বেআইনি কীর্তিকলাপের অভিযোগ করা হয়েছে। সোমবার সকালে এই পোস্টার নজরে আসতেই নানা মহলে শুরু হয় চর্চা। পোস্টারের নীচে লেখা, তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীবৃন্দ। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে হাড়োয়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হন তৃণমূলের হাজি নুরুল ইসলাম। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তিনি বসিরহাট থেকে জয়ী হন। ফলে তাঁকে বিধানসভা থেকে পদত্যাগ করতে হয়। সেই শূন্য আসনেই উপ নির্বাচন হবে এবার। এই কেন্দ্রে শাসকদলের প্রার্থী কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। উল্লেখ্য, সাংসদ হওয়ার পর সম্প্রতি বসিরহাটের সাংসদ হাজি নুরুল ইসলাম প্রয়াত হন। ফলে এই সংসদীয় আসনটিও বর্তমানে খালি হয়েছে।
হাড়োয়ায় তৃণমূল প্রার্থী করেছে প্রয়াত সাংসদের মেজ ছেলে শেখ রবিউল ইসলামকে। তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট হয়েছেন বারাসত ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ আসের আলি। এই আসেরকে নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। একটা সময় আসের বিজেপির সক্রিয় সদস্য ছিলেন বলে তৃণমূলের একাংশের দাবি। তাঁর বিরুদ্ধে অন্যের জমি দখল, হুমকি ও একাধিক বেআইনি কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে। এইসব অভিযোগকে সামনে রেখেই শাসন, ফলতি, দাদপুর, পাকদহ সহ একাধিক এলাকায় পোস্টার পড়েছে। এই ঘটনায় সব দায় বিজেপির দিকে ঠেলেছেন বারাসত ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শম্ভুনাথ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘এটা বিজেপির চক্রান্ত। রাজনৈতিকভাবে পেরে না উঠে এভাবে তারা কুৎসা করতে নেমেছে’।
এদিকে আসের আলি বিজেপির সক্রিয় সদস্য ছিলেন বলে মেনে নিয়েছেন বিজেপির বসিরহাটের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, ‘আসের আলির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকায় তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এখন তিনিই আবার তৃণমূলের নির্বাচনী এজেন্ট হয়েছেন।’ এ নিয়ে আসের আলিকে ফোন করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। নিজস্ব চিত্র