• চন্দননগরকে টেক্কা দিতে তৈরি কৃষ্ণনগর  জগদ্ধাত্রী পুজোয় হরেক চমক
    বর্তমান | ০৫ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি কৃষ্ণনগর: কালীপুজো মিটতেই জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রস্তুতিতে পুরোদমে নেমে পড়েছে কৃষ্ণনগর। হাতে আর মাত্র এক সপ্তাহ। তার মধ্যেই প্যান্ডেল তৈরি থেকে শুরু করে বাকি সমস্ত আয়োজন শেষ করতে হবে। অবশ্য অধিকাংশ বড় পুজো কমিটিগুলো দীপাবলির অনেক আগে থেকেই জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিল। বর্তমানে তারা শেষ মুহূর্তের কাজে ব্যস্ত। সব মিলিয়ে মৃৎশিল্পের শহর জগদ্ধাত্রীর আরাধনায় মেতে ওঠার প্রহর গুনছে। এবছর প্রায় দেড়শটি পুজো হচ্ছে কৃষ্ণনগরে। শহরবাসীর দাবি, এবছর কৃষ্ণনগর শহরে রেকর্ড ভিড় হবে। তার অন্যতম কারণ, এবার বিভিন্ন পুজোর থিম নজর কাড়তে চলেছে। তাই অন্য জেলা থেকে বহু দর্শনার্থী কৃষ্ণনগর আসবেন। শহরের বাসিন্দা শশাঙ্ক বিশ্বাস বলেন, ‘আমাদের অনেক পরিচিত মানুষ আছেন যাঁরা আগে কখনও কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজা দেখেননি। অথচ তাঁরা প্রতিবছর চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে যান। এবছর তাঁরা কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে আসতে চাইছেন।’

    জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্মভূমি কৃষ্ণনগর প্রচারের আলো কমই পেয়েছে। সেই জায়গায় কলকাতা লাগুয়া চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর খ্যাতি মানুষের মধ্যে অনেক বেশি ছড়িয়ে পড়েছে। ‘লাইম লাইটে’ থাকা চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোকে প্রতিমা ও থিমের ভাবনায় টেক্কা দিতে এবার মরিয়া কৃষ্ণনগর। সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে বিগত কয়েক বছর ধরে কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো প্রচার পাচ্ছে। যা কমিটিগুলোকেও পুজোর মান বৃদ্ধি করতে উৎসাহ দিচ্ছে। এবছর অধিকাংশ পুজো কমিটিই নতুন নতুন থিম ভাবনা নিয়ে আসরে নেমেছে। সেই মতো পুজো প্রস্তুতির কাজ শুরু করে ফেলেছে কমিটিগুলো। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষ্ণনগর শহরে এবছর ভাসানে থাকবে ১০৩টি গাড়ির প্রতিমা এবং চল্লিশটি সাঙের প্রতিমা। 

    সোমবার কৃষ্ণনগর শহর ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি পুজো কমিটি জোরকদমে প্যান্ডেল তৈরির কাজ করছে, কোথাও প্রতিমা সাজানো হচ্ছে। রবিবার সন্ধ্যায় দেখা যায়, কৃষ্ণনগরের বিখ্যাত চাষাপাড়া বারোয়ারির প্রতিমা ‘বুড়িমা’-র মূর্তি তৈরি হয়ে গিয়েছে। কৃষ্ণনগরে শুধু নবমীর দিনই জগদ্ধাত্রী পুজো হয়। তবে অনেকেই ৭ নভেম্বরের মধ্যে মণ্ডপসজ্জার কাজ শেষ করতে চাইছে। কৃষ্ণনগর শহরের বউবাজার বারোয়ারি কমিটির এক উদ্যোক্তা সুদীপ্ত দাস বলে, ‘আমরা ৭ নভেম্বরের মধ্যে মণ্ডপসজ্জার কাজ শেষ করে ফেলছি। এবছর আমরা অভিনব থিম শহরবাসীকে উপহার দিচ্ছি। পুজোর প্রতিটা দিন বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে।’ বাঘাডাঙা বারোয়ারির পুজো উদ্যোক্তা সুমিত ঘোষ বলেন, ‘এবছর থিমের মাধ্যমে আমরা শহরবাসীকে অন্যরকম স্বাদ দেওয়ার চেষ্টা করছি। সেই মতো প্যান্ডেল তৈরির কাজ চলছে। বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে এই মণ্ডপ তৈরি করা হচ্ছে।’ শহরের সীমান্ত ঘূর্ণি থেকে শক্তিনগর পর্যন্ত সর্বত্রই জগদ্ধাত্রী পুজো নিয়ে চূড়ান্ত ব্যস্ততা।  আমিনবাজার বারোয়ারির জগদ্ধাত্রী পুজোর মন্ডপ তৈরি চলছে। নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)