শিশুকন্যা ধর্ষণ-খুনের তদন্তে ফরেন্সিক টিম, নমুনা সংগ্রহ
বর্তমান | ০৫ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, ফালাকাটা: ফালাকাটায় ফের ধর্ষণের অভিযোগ। এবার আটমাইল এলাকায়। সোমবার রাতে এক নাবালিকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ফালাকাটা থানার পুলিস ৩০ বছর বয়সের এক যুবকে আটক করে। গোটা ঘটনায় ফালাকাটা থানায় লিখিত আকারে অভিযোগ জানিয়েছেন নাবালিকার পরিবার। এদিকে, ছ’বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ ও খুনের তদন্তে সোমবার জলপাইগুড়ি থেকে তিন সদস্যের ফরেন্সিক টিম এল ফালাকাটা ব্লকের ধনিরামপুর-২ অঞ্চলের খগেনহাটে। এদিন দুপুর ১টা নাগাদ মৃত শিশুর বাড়ির সামনে থাকা প্রথম অভিযুক্ত তথা গণপিটুনিতে মৃত মোনা রায়ের (৪৫) বাড়িতে ঢোকে ফরেন্সিক টিম। ওই টিমের সঙ্গে জায়গাঁর অতিরিক্ত পুলিস সুপার মানবেন্দ্র দাস, এসডিপিও প্রশান্ত দেবনাথ, ফালাকাটা থানার আইসি সমিত তালুকদার ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দুপুরে একরত্তিকে জিলাপি খাওয়ার লোভ দেখিয়ে ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও খুন করা হয়। পরে প্রমাণ লোপাট করতে তার দেহ পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। শিশুর রক্তমাখা পোশাক লোপাটের সময় মোনাকে ধরে ফেলে উত্তেজিতরা। গণপিটুনিতে তার মৃত্যু হয়। তবে ঘটনায় জড়িত আর এক অভিযুক্ত মনোরঞ্জন রায় ওরফে ভক্ত পালিয়ে যায়। পরে পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করে। এদিন ফরেন্সিক টিমের সদস্যরা তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে তদন্ত চালায়। অভিযুক্তের বাড়িতে যখন ফরেন্সিক টিম নমুনা সংগ্রহ করছিল তখন শিশুর বাড়িতে শ্রাদ্ধ ক্রিয়াদি চলছিল। এমন দৃশ্য দেখতে দেখতে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি ওঠে।
জলপাইগুড়ি থেকে আসা ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ ডাঃ মৌসুমী রক্ষিত বলেন, রক্ত, চুল, পায়ের ছাপ সহ খালি চোখে দেখা যায় এমন বিভিন্ন নমুনা ঘর থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। পুকুর থেকে মাটি ও বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নিজস্ব চিত্র।