বাগানে শ্রমিকদের জমির অধিকার এবং ন্যূনতম মজুরি ইস্যুতে লড়ছেন পরিমল
বর্তমান | ০৫ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: রাজ্যের তৃণমূল সরকার চা শ্রমিকদের জন্য অনেক উন্নয়ন করেছে। কিন্তু তাতে উন্নয়নের কাজ সম্পূর্ণ হয় না। চাই শ্রমিকদের বাগানে জমির অধিকার। চাই শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি। এই ইস্যুকে সামনে রেখে লোকসভার পর এবার মাদারিহাট বিধানসভার উপ নির্বাচনেও নির্দল প্রার্থী হয়ে লড়ছেন পরিমল ওরাওঁ।
চব্বিশের লোকসভা ভোটে নির্দল প্রার্থী হয়ে আলিপুরদুয়ার লোকসভা ভোটে লড়েছিলেন মাদারিহাটের উত্তর শিশুবাড়ির বাসিন্দা পরিমলবাবু। কিন্তু সুবিধা করতে পারেননি। সাকুল্যে মাত্র ১৪ হাজারের মতো ভোট পেয়েছিলেন। তারমধ্যে মাদারিহাট বিধানসভায় পেয়েছিলেন ২৬০০’র মতো ভোট। কিন্তু তাতেই মাদারিহাট বিধানসভার উপ নির্বাচনে ঘুম উড়েছে তৃণমূল ও বিজেপি যুযুধান দুই দলের ভোট ম্যানেজারদের। কারণ রাজনৈতিক মহলের ধারণা, উপ নির্বাচনে তৃণমুল বা বিজেপি যেই ভোটে জিতুক না কেন জয়ের ব্যবধান হবে তিন থেকে চার হাজার ভোটের। সেক্ষেত্রে দুই দলের জয় পরাজয়ে অবশ্যই ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারেন বৈদ্যুতিক খুঁটির প্রতীকে লড়া নির্দল প্রার্থী পরিমলবাবু।
পেশায় কৃষক পরিমলবাবু বলেন, এটা অনস্বীকার্য যে রাজ্যের তৃণমূল সরকার চা বাগানে অনেক উন্নয়নই করেছে। চা সুন্দরীর ঘর থেকে জমির পাট্টা দিয়েছে চা শ্রমিকদের। কিন্তু তাতে শ্রমিকদের উন্নয়নের কাজ শেষ হয়ে যায় না। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার তো চা বাগান ও শ্রমিকদের জন্য কোনও কাজই করেনি। আমাদের দাবি, জমির পাট্টা নয়। শ্রমিকদের বাগানে জমির পাট্টা দিতে হবে। আজও শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি লাগু হয়নি। এনিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য দুই সরকারই উদাসীন। ন্যূনতম মজুরি লাগু হলেই চা শ্রমিকদের আসল সমস্যা মিটবে। যদিও তৃণমূল ও বিজেপি উভয় দলের নেতাদেরই দাবি, উপ নির্বাচনে নির্দল প্রার্থীরা কোনও ফ্যাক্টর হবে না। বিজেপির জেলা সভাপতি এমপি মনোজ টিগ্গা বলেন, ভোটে নির্দল প্রার্থীরা কোনও ফ্যাক্টরই হবে না। তৃণমূলের জেলা সভাপতি রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশচিক বরাইক বলেন, মাদারিহাটের উপ নির্বাচনে নির্ণায়ক হয়ে উঠবেন শ্রমিকরাই। আর চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য রাজ্য কী উন্নয়ন করেছে তা সবাই জানে। ফলে ভোটে নির্দল প্রার্থীদের নিয়ে আমরা চিন্তিত নই।