• কোচবিহারে মদনমোহন মন্দিরে রাস উৎসবের প্রস্তুতি তুঙ্গে
    বর্তমান | ০৫ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: কোচবিহারের রাসমেলার আর ১১ দিন বাকি। তাই সাজো সাজো রব পড়ে গিয়েছে মদনমোহন মন্দিরে। মন্দির রং করার পাশাপাশি সামনের মাঠ পরিষ্কার করা হচ্ছে। পুলিসের গার্ড রুমও সংস্কার করা হচ্ছে। শীঘ্রই কাজ শেষ হবে। সেজে উঠবে পুরো মন্দির চত্বর। ১৫ নভেম্বর রাসযাত্রা। ওইদিন বিকেলে মন্দিরের স্ট্রংরুম থেকে বের করা হবে ৫০ ভরি ওজনের মদনমোহনের সোনার ছাতা। ১৯৯৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মদনমোহন মন্দিরের প্রাচীন বিগ্রহ চুরি হয়ে যায়। সেসময় দুষ্কৃতীরা ঠাকুরের গয়নার বাক্স ভেবে অপর একটি বাক্স নিয়ে যায়। কপাল জোড়ে বেঁচে যায় ঠাকুরের ১৫০ ভরি গয়না। যা এখন ঠাকুরের অঙ্গে শোভা পায়। ১৯৯৮ সালে বেনারস থেকে মদনমোহনের অষ্টধাতুর বিগ্রহ বানিয়ে এনে প্রতিষ্ঠা করা হয়। রাসযাত্রা উপলক্ষ্যে প্রাণের ঠাকুর মদনমোহন মন্দিরের বারান্দায় অধিষ্ঠান করেন। কড়া পুলিসি নিরাপত্তায় পূণ্যার্থীদের দর্শন দেন তিনি।

    মন্দিরের কর্মী জয়ন্ত চক্রবর্তী বলেন, রাসযাত্রা উপলক্ষ্যে সব রকমের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। নির্দিষ্ট দিনে ঠাকুরের সোনার ছাতা বের হবে। মন্দিরের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করার কাজ চলছে। মন্দিরের সামনে যাঁরা দোকান দেন তাঁরাও আসতে শুরু করেছেন। 

    কোচবিহারের প্রাণের ঠাকুর মদনমোহনের রাসযাত্রাকে কেন্দ্র করে লক্ষ মানুষের সমাগম হয়। মদনমোহন যে মানুষের ভাবাবেগের সঙ্গে কতটা জড়িয়ে রয়েছেন বিগ্রহ চুরি যাওয়ার সময়ের ঘটনা থেকে জানা যায়।

    মন্দির সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সকালে মন্দিরের দরজা খুলে দেখা গিয়েছিল একটি দড়ি ঝুলছে। পরে দেখা যায় ভিতরে বিগ্রহ নেই। দুষ্কৃতীরা ছাদের ভেন্টিলেটরের জায়গার ইট ভেঙে ভিতরে ঢুকেছিল। এখন সেসব বন্ধ। সেসময় একই রকম দেখতে দু’টি বাক্স পাশাপাশি রাখা ছিল। একটি তালাবন্ধ ছিল, অপরটিতে তালা ছিল না। দুষ্কৃতীরা তালা দেওয়া বাক্সটিই নিয়ে যায়। তালা খোলা বাক্সটিতেই ছিল ঠাকুরের সোনার অলঙ্কার।
  • Link to this news (বর্তমান)