সংবাদদাতা, তুফানগঞ্জ: নিষেধাজ্ঞাকে ডোন্টকেয়ার। কালীপুজোর ভাসানে বন্ধ করা গেল না ডিজে ও উচ্চস্বরে মাইকের দাপট। রীতিমতো ডিজে বক্স বাজিয়ে চলল কালীপ্রতিমার নিরঞ্জন। রবিবার রাতে তুফানগঞ্জ শহরে দেখা গেল এই দৃশ্য। যদিও এবারে শব্দবাজিতে কিছুটা লাগাম টানা সম্ভব হয়েছে।
তুফানগঞ্জ শহরে বিগবাজেটের কালীপুজো খুব বেশি নেই। তবে কম বাজেটের বারোয়ারি পুজোর সংখ্যা নেহাত কম নয়। এক এক পাড়ায় একাধিক পুজো হয়। রবিবার রাতে শহর ও শহর সংলগ্ন এলাকার অন্তত ৩০টি কালীপ্রতিমার ভাসান হয়েছে রায়ডাক নদীতে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে শোভাযাত্রায় শব্দ বাজির তাণ্ডব হয়েছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের একাংশের। এক্ষেত্রে ভুক্তভুগীরা প্রবীণ নাগরিক। তাদের অভিযোগ, শব্দদানবের দাপট ঠেকাতে পুলিস কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী কমলকৃষ্ণ কুণ্ডু বলেন, প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও কালীপুজোর ভাসানে যেভাবে শহরজুড়ে শব্দ তাণ্ডব চলেছে, তা আমাদের মতো বয়স্ক নাগরিকদের কাছে অত্যন্ত যন্ত্রনার। এতে হার্টে খারাপ প্রভাব পড়ে। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে পুলিসের আরও সক্রিয়তা প্রয়োজন। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কুনাল মুখোপাধ্যায় বলেন, ডিজের ব্যবহার তুলনামূলক কম হলেও উচ্চস্বরে মাইক বাজিয়ে বেশকিছু শোভাযাত্রা হয়েছে। উচ্চস্বরে মাইকের আওয়াজে কান ঝালাপালা পরিস্থিতি হয়েছে। পুলিস-প্রশাসনের আরও সজাগ হওয়া প্রয়োজন।
পরিবেশকর্মী প্রতীক সরকার বলেন, যেভাবে কালী প্রতিমার নিরঞ্জনকে কেন্দ্র করে ডিজে, উচ্চস্বরে মাইক, শব্দবাজির তাণ্ডব চলছে এতে পরিবেশের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে। সাধারণ মানুষকেও রীতিমতো সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। এ ব্যাপারে প্রত্যেকেরই আরও একটু সচেতন হতে হবে।
যদিও তুফানগঞ্জ মহকুমা পুলিস আধিকারিক বৈভব বাঙ্গার বলেন, এ ধরনের অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নিজস্ব চিত্র।