বিহার থেকে কাচের চুড়ি এনে ব্যবসা, ছটে লক্ষ্মীলাভ রায়গঞ্জে
বর্তমান | ০৫ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, রায়গঞ্জ: ছটপুজোয় রায়গঞ্জে ফুটপাতে ও দোকানে বিক্রি হচ্ছে রং বেরঙের কাচের চুড়ি। আর সেই চুড়ি কিনতে দোকানে ভিড় করছেন মহিলারা। রায়গঞ্জের স্কুল রোড, খরমুজা ঘাট, বন্দর সহ একাধিক জায়গায় এই চুড়ি বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে দোকানদারদের। সারাবছর টুকটাক চুড়ি বিক্রি হলেও ছটপুজোয় চুড়ি বিক্রি ভালোই হয়। চুড়ি বিক্রেতাদের দাবি, ছটপুজোয় যা বিক্রি হয় তা সারাবছরের বিক্রিকে ছাপিয়ে যায়।
বিহারের কাটিহার, কিষাণগঞ্জ, পূর্ণিয়া থেকে এই রঙিন চুড়ি নিয়ে এসে রায়গঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। অনেকে পাড়ায় পাড়ায় ফেরি করে চুড়ি বিক্রি করছেন।
ছটপুজো এখন আর শুধু বিহারীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। বাঙালিরাও এই পুজোয় শামিল হন। কথিত আছে, ছটপুজোয় নদীর ঘাটে যাওয়ার আগে মহিলাদের হাত ফাঁকা রাখতে নেই। তাই হাতভর্তি কাচের চুড়ি পরেন তাঁরা। বিক্রেতারা বলছেন, আগে শুধু লাল চুড়ির প্রচলন ছিল। কিন্তু এখন বিভিন্ন রঙের চুড়ির চাহিদা থাকে। তিরিশ টাকা থেকে শুরু করে একশো টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয় এই কাচের চুড়ি।
চল্লিশ বছর ধরে চুড়ি বিক্রি করেন মহম্মদ হানিফ। আগে দোকানে চুড়ি বিক্রি করতেন। এখন ফেরি করে চুড়ি বিক্রি করছেন। তিনি বলেন, পুজোর দিন খরমুজা ঘাটে চুড়ির দোকান দেব। চৈতালি ঘোষ নামে এক ছটব্রতী বলেন, আটবছর ধরে আমি ছটপুজো করি। পুজোতে চুড়ি পরে যাওয়ার রীতি রয়েছে। আমিও তাই নতুন রঙিন চুড়ি কিনেছি। ছটপুজোর দিন সেই চুড়ি পরে পুজো দিতে যাব। রায়গঞ্জে কাচের চুড়ির বিকিকিনি।-নিজস্ব চিত্র