• বালুরঘাটে খুনে দুই অভিযুক্তকে এলাকা ছাড়া করার দাবি স্থানীয়দের
    বর্তমান | ০৫ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, পতিরাম: বালুরঘাটে ল’কলেজ পাড়ায় নেশার টাকা না পেয়ে খুনের অভিযোগে ধৃতকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল পুলিস। পাশাপাশি এক দুষ্কৃতীর বাড়ি থেকে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। খুনের ঘটনার পর সোমবারও থমথমে ছিল এলাকা। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, পরিকল্পনা করেই খুন করেছে দুষ্কৃতীরা। আইসি শান্তিনাথ পাঁজা বলেন, অভিযুক্তকে এদিন এলাকায় নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। অস্ত্র উদ্ধার হওয়ার পর বাকিদের খোঁজ চলছে। 

    পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত চন্দন কামেত ও মূল অভিযুক্ত চিত্তরঞ্জন বর্মন তান্ত্রিক হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন। চন্দনকে বালুরঘাট শহরে অনেকে বাবাজি বলতেন। চিত্তরঞ্জনের এক সঙ্গী সহদেব বর্মনও অন্যতম অভিযুক্ত। দু’জনকেই পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। সম্প্রতি চন্দনের শিষ্যের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছিল। যা থেকেই চিত্তরঞ্জনের হিংসা হতো বলে অভিযোগ। এনিয়ে আগেও দুই পরিবারের ঝামেলা হয়। গত ১ নভেম্বর রাতে চন্দনের বাড়িতে পুজো উপলক্ষ্যে তাঁর ভাই ব্রহ্মদেব কামেত বেড়াতে আসেন। তাকে এগিয়ে দিতে গেলে চিত্তরঞ্জন সঙ্গীদের নিয়ে দুই ভাইয়ের কাছে নেশার জন্য ৫০০  টাকা চায়। দিতে অস্বীকার করলে দুই ভাইয়ের উপর হামলা করে তারা। একদিন পর মৃত্যু হয় চন্দনের।  চন্দনের বোন গৌরি রবিদাস বলেন, দাদা খুব ভালো মানুষ ছিলেন। তান্ত্রিকের কাজে অনেক শিষ্য হয়েছিল। সেজন্যই অভিযুক্ত হিংসা করত। সেদিন রাতে আমার দুই দাদা রাস্তা দিয়ে গেলে পরিকল্পনা করেই চিত্তরঞ্জন প্রথমে টাকা চায়। ইচ্ছে করে গণ্ডগোল পাকিয়ে দুই দাদাকে মারধর করে। খুনিদের কঠোর শাস্তি চাই। নির্মমভাবে খুনের ঘটনার পর ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকাবাসীরা। তাঁরা অভিযুক্তদের এলাকা ছাড়া করার দাবি তুলেছেন। তাঁদের দাবি, দীর্ঘদিন অভিযুক্তরা এলাকায় ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করত। স্থানীয় সন্তোষ সিং বলেন, ঘটনার সময় ছিলাম না। তবে নৃশংসভাবে মেরেছে বলে জানতে পেরেছি। এই পাড়ায় দুই অভিযুক্তর পরিবার ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে। এমন খুনের পর আমরাও ভয়ে রয়েছি। ওই দুই পরিবারকে এলাকায় আর রাখা যাবে না।  মৃতের শোকার্ত পরিজন।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)