নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে আজ আসছেন স্বাস্থ্যকর্তারা, হাসপাতালে জমে বর্জ্যের স্তূপ
বর্তমান | ০৫ নভেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: মেডিক্যালের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে আজ, মঙ্গলবার জলপাইগুড়িতে আসছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তারা। ‘রাত্তিরের সাথী’র অধীনে মেডিক্যালে নিরাপত্তা বিষয়ক কী কী কাজ এখনও পর্যন্ত হয়েছে, কতটা কাজ বাকি রয়েছে, সেসবই খতিয়ে দেখবেন তাঁরা।
জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল সূত্রে খবর, রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে একটি টিম আসছে। তারা মূলত হাসপাতালের আনাচে কানাচে ঘুরে নিরাপত্তার দিকটি খতিয়ে দেখবে। মেডিক্যালের সুপার কল্যাণ খাঁ বলেন, রাজ্যের নির্দেশ মতো সিসি ক্যামেরা, চিকিৎসকদের ডিউটি রুম, শৌচালয়, আলো সহ বিভিন্ন কাজ করা হয়েছে। কিছু কাজ চলছে। চিকিৎসকদের ডিউটি রুমে বায়োমেট্রিক যন্ত্র বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের অধীন সদর হাসপাতালে সীমানা প্রাচীর ও গেটের কাজ চলছে। স্বাস্থ্যভবন থেকে একটি টিম মঙ্গলবার আসার কথা। তারা দেখে আমাদের যা পরামর্শ দেবে, সেইমতো পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে, স্বাস্থ্যদপ্তরের টিম আসার আগেই জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের অধীন সদর হাসপাতাল চত্বরে ডাঁই হয়ে পড়ে থাকা বর্জ্য নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন রোগীরা। সোমবার সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, যেখানে আলট্রাসোনোগ্রাফি, রক্ত পরীক্ষা ও এক্স-রে করানোর জন্য রোগীরা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন, তার কাছেই বর্জ্যের স্তূপ। সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়া দুর্গন্ধে রোগী ও তাঁদের পরিজনরা দাঁড়াতে পারছেন না। দুর্গন্ধে এদিন আলট্রাসোনোগ্রাফি করাতে আসা কয়েকজন অন্তঃসত্ত্বা রীতিমতো অসুস্থ হয়ে পড়েন। জলপাইগুড়ি রাজবাড়িপাড়ার বাসিন্দা, অন্তঃসত্ত্বা অঞ্জলি শা এদিন সদর হাসপাতালে ইউএসজি করাতে এসেছিলেন। বর্জ্যের দুর্গন্ধে গা পাকিয়ে বমি উঠে আসে তাঁর। বলেন, সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দাঁড়িয়ে আছি। ১২টাতেও আলট্রাসোনোগ্রাফি হয়নি। পাশেই ডাঁই হয়ে পড়ে রয়েছে বর্জ্য। দুর্গন্ধে ভরে যাচ্ছে হাসপাতালে। এভাবে কি থাকা যায়?
এনিয়ে মেডিক্যালের সুপার বলেন, হাসপাতাল থেকে বর্জ্য সরানোর জন্য আমরা পুরসভাকে বলতেই থাকি। ১০ বার বলার পর তা পরিষ্কারের লোক পাঠায় পুরসভা। দুর্গাপুজোর আগেও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে একই সমস্যা দেখা দিয়েছিল। সেসময় বিষয়টি বাধ্য হয়ে জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়। তারপরই সেখান থেকে বর্জ্য সাফাই হয়েছিল। পুরসভার চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল বলেন, মেডিক্যালে বর্জ্য সাফাইয়ের জন্য আমরা নিয়মিত লোক পাঠাই। সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে কথা বলে নিচ্ছি।